বিশেষ প্রতিবেদক, বরগুনাঃ
পুলিশের চূড়ান্ত ভেরিফিকেশনে ঘুষ দাবি করায় বরগুনার বেতাগী থানায় দায়িত্বরত এসআই হারুন অর রশিদ ফরাজীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
বেতাগী থানার ওসি মো.শাহ আলম হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় বরগুনা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নোটিশে তাকে ক্লোজড করা হয়।
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ভূমিহীন সজলের ভেরিফিকেশনের ফাইনাল রিপোর্টে লাখ টাকা ঘুষ দাবির ঘটনায় তাকে বরগুনা পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ তথ্য জানান ওসি শাহ আলম।
তবে এমন ঘটনায় আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন সজলের পরিবার। তাদেরকে নানাভাবে জানানো হচ্ছে যে, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় ছেলে সজলের চাকরির সমস্যা হতে পারে। তাই সজলের পরিবার আবারো প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ ঘটনায় ঘুষ দাবির অন্যতম স্বাক্ষী হোসনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শুরু থেকে আমার ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমানের মারফতেই ঘুষ চেয়েছেন এসআই হারুন। বাধ্য হয়ে বিষয়টি সাংবাদিককে জানিয়েছি। তবে সংবাদ প্রকাশের পর এসআই হারুন ক্লোজড হওয়াটা জরুরি ছিল। তা না হলে পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা থাকতো না।
এ ব্যাপারে জানতে এস আই হারুন অর-রশিদকে ফোন করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, ভূমিহীন হওয়ার জটিলতার রেশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরি পান সেই সজল। তবে চাকরির ফাইনাল পুলিশ ভেরিফিকেশনে লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বেতাগী থানায় দায়িত্বরত এসআই হারুন অর-রশিদ। হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতার মারফতে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বেতাগী থানার এসআই মো. হারুন অর-রশিদ ফরাজী। পরে সজলের বাবা বেতাগী থানায় পুলিশ ট্রেনিংয়ের যোগদানের নোটিশপত্র আনতে গেলে তার কাছে সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এসব তথ্য প্রকাশের পর এসআই হারুন অর-রশিদ ফরাজিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
Facebook Comments Box