বানারীপাড়া প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদীতে লে র ধাক্কায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের মধ্য থেকে নিখোঁজ শ্রমিক কালামের (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলাধীন সন্ধ্যা নদীর মসজিদবাড়ি পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বালকহেডের মিস্ত্রী ছিলেন। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার নান্দুহার এলাকায়। মিলন (৩৫) নামের বাল্কহেডের সুকানী এখনও নিখোঁজ রয়েছে। এদিকে সংঘর্ষে এমভি মর্নিংসান-৯ লে র ছিদ্র হওয়া তলা সাময়িক মেরামত করে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সোমবার (৮ আগস্ট) রাত পৌনে ৯ টার দিকে বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে এমভি মর্নিংসান-৯ লে র সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। নিখোঁজ হয় বাল্কহেডের দুই শ্রমিক কালাম ও মিলন। সংঘর্ষে লে র সামনের দিকের ডানপাশে পানির স্তরের কিছুটা উপরে ছিদ্র হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন রাতে ওই লে র যাত্রা স্থগিত করে। দূর্ঘটনাস্থলের অদূরে ল টি উজিরপুরের চৌধুরীর হাটে নোঙর করলে লে থাকা আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার দুই শতাধিক যাত্রী নেমে গন্তব্যে চলে যায়। এরপর শতাধিক যাত্রী লে অবস্থান করে। বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের সন্ধান মিলেছে বানারীপাড়ার মসজিদবাড়ি গ্রামের একটি ইটভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর পানির তলদেশে। ওই বাল্কহেডের ভেতর থেকে নিখোঁজ দুই শ্রমিকের মধ্যে কালাম নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজন বাল্কহেডের সুকানী মিলনের সন্ধানে তল্লাশী চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্ট চলছে বলেও তিনি জানান।