, , , ,

অতিবর্ষনে উপকুলীয় অঞ্চলের আমনের বীজতলা তলিয়ে গেছে। মাঠঘাট পানিতে প্লাবিত। চাষাবাদ বন্ধ।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
পুর্ণিমার জোঁ ও তিন দিনের ভারীবর্ষনে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী
উপজেলার আউশ ধানের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।
পানিতে প্লাবিত হয়ে দুই উপজেলার ৫০ হাজার কৃষকের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে।
দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে আমনের বীজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে
জানান কৃষকরা।
জানাগেছে, পুর্ণিমা জোরঁ প্রভাবে পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের
চেয়ে ১৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীর
চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলের বসবাসরত মানুষজন অতি কষ্টে
দিনাতিপাত করছে। ভারী বর্ষনে পানিতে প্লাবিত হয়ে আউশের ধান ক্ষেত ও
আমনের বীচতলা পানির নীচে তরিয়ে গেছে। এতে দুই উপজেলার ৫০ হাজার
কৃষকরে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত পানি নিস্কাশন না হলে আমনের
বীজতলা পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আমনের
বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে রয়েছে। পানির কারনে কৃষকদের চাষাবাদ বন্ধ
রয়েছে।
লেমুয়া গ্রামের ইসহাক হাওলাদার বলেন, ভারী বর্ষনে আমনের বীজতলা
পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির কারনে জমি চাষাবাদ করতে পারছি না। দ্রুত
পানি সরে না গেলে আমনের বীজ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পশ্চিম গাবতলী আবাসনের ছত্তার হাওলাদার বলেন, পানতে ঘর তলাইয়্যা গ্যাছে।
গুড়াগারা লইয়্যা কষ্ট হরি।
উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের শিবলী শরীফ বলেন, আউশ ধানের ক্ষেত ও আমনের
বীজতলা পানির নীচে। কৃষকদের জমি চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে।
আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেইজ রিডার মোঃ আবুল কালাম আজাদ
বলেন, স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পায়রা নদীতে ১৫ সেন্টিমিটার পানি
বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পায়রা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, ভারী বর্ষনে
কৃষি জমি তলিয়ে যাওয়ায় আপাদত চাষাবাদ বন্ধ থাকলেও কৃষকদের অনেক
উপকারে আসবে। পানি সরে গেলে আমনের বীজের ক্ষতি হবে না।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225