আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদাম ঘাটে জেটি নেই

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।

গত ৫৫ বছরেও আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদাম ঘাটে টেকসই জেটি (ঘাট) নির্মাণ করা হয়নি। বাঁশ ও কাঠের পাটাতনের সাকো দিয়ে শ্রমিকরা জাহাজ থেকে মালামাল উঠানামা করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেছেন তারা। দ্রুত টেকসই জেটি নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
জানাগেছে, ১৯৬৬ সালে পায়রা নদী সংলগ্ন আমতলী উপজেলা খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয়। ওই সময় জাহাজ থেকে মালামাল উঠানামা করতে নদীতে টেকসই জেটি নির্মাণ করা হয়নি। ২০০৩ সালে খাদ্য বিভাগ নদীতে জেটি নির্মাণ করে। কিন্তু নি¤œমানের কাজ করায় দুই বছরের মাথায় তা ভেঙ্গে যায়। গত ১৮ বছর ধরে জেটি ছাড়াই বাঁশ ও কাঠের পাটাতনের সাকো দিয়ে জাহাজ থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল উঠানামা করছেন শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। দ্রুত টেকসই জেটি নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
রবিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পায়রা নদীর খাদ্য গুদাম ঘাটে জাহাজ নোঙ্গর করা আছে। ভেঙ্গে যাওয়া জেটির পাশে বাঁশ ও কাঠের পাটাতনের সাকো দিয়ে জাহাজ থেকে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চাল খাদ্য গুদামে উত্তোলন করছেন। এতে শ্রমিকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
শ্রকিক মোঃ হাবিবুর রহমান, বাদশা, খোকন ও অমল বলেন, স্বাধীনতার পুর্বে আমতলী খাদ্য গুদাম নির্মাণ করা হয় কিন্তু জেটি নির্মাণ করা হয়নি। জেটি না থাকায় জাহাজ থেকে মালামাল লোড-আনলোডে বেশ সমস্যা হয়। তারা আরো বলেন, জাহাজ আসলে বাঁশ ও কাঠের পাটাতনের সাকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল উত্তোলন করতে হয়। দ্রুত টেকসই জেটি নির্মাণের দাবী জানান তারা।
আমতলী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, জেটি না থাকায় জাহাজ থেকে মালামাল উঠানামা করতে শ্রমিকদের বেশ সমস্যা হয়। দ্রুত জেটি নির্মাণ করা প্রয়োজন।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, জেটি নির্মাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পত্র পাঠানো হবে।
বরগুনা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা এসএম গোলাম কিবরিয়া বলেন, জাহাজের মালামাল উঠানামায় জেটি নির্মাণ করতে দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হবে।Hk

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225