বিশেষ প্রতিনিধিঃ বর্তমান সময়ের তরুণ জনপ্রিয় সমাজকর্মীদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নাম মুহাম্মদ আবু আবিদ। পেশাগতভাবে তিনি একজন সফল সাংবাদিক, আবার সমাজসেবার ক্ষেত্রেও তার কার্যক্রম বিস্তৃত ও প্রশংসনীয়। তবে পেশাগত পরিচিতির বাইরে ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে তিনি কেমন? এ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেকের।
তিনি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন চীফ, টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বৃহৎ সামাজিক সংগঠন ‘দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
সদাচার, শৃঙ্খলা, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা তার ব্যক্তিত্বের অনন্য দিক। বন্ধুবৎসল, আন্তরিক ও সব সময় আশাবাদী—এই শব্দগুলো দিয়ে তার চরিত্রকে সহজেই বর্ণনা করা যায়।
মুহাম্মদ আবু আবিদের পরিবারও সমাজসেবার ক্ষেত্রে একটি বড় অনুপ্রেরণা। তার পিতা মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ একজন খ্যাতিমান সমাজসেবক এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে কর্মরত। মাতা হাসনে আরা বেগম একজন গৃহিণী, যিনি পারিবারিক শান্তি ও ঐক্যের মূলে আছেন। আবিদের বড় ভাই মুহাম্মদ আবু আদিল একজন কৃষিবিদ ও সমাজকর্মী—যিনি সমাজ উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখে চলেছেন।
মুহাম্মদ আবু আবিদ বিশ্বাস করেন—“মানুষের জন্য কাজ করাটাই প্রকৃত জীবনধর্ম।” এই বিশ্বাস থেকেই তার জীবনের প্রতিটি কাজ মানবকল্যাণে নিবেদিত। ব্যক্তি জীবনে তিনি সরল জীবনযাপন পছন্দ করেন এবং প্রতিটি সম্পর্কের প্রতি আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
মুহাম্মদ আবু আবিদের জন্ম ২ মার্চ চট্টগ্রাম জেলার হালিশহরে। ছোটবেলা থেকেই তিনি মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসতেন। সেই ভালোবাসা থেকেই সমাজসেবার পথে এগিয়ে চলা।
মুহাম্মদ আবু আবিদের ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবন যতটা সাদামাটা, ততটাই অনুপ্রেরণামূলক। তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি হতে পারেন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত—যিনি কর্ম ও চরিত্রের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিচল থাকেন।