কেবল কথার মারপ্যাচ দিয়ে তিনি মানুষের মন জয় করতে চাননি;মাঠে কাজ করেই কঠিনতম বিপদ থেকে দেশকে তুলে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মাত্র দেড় বছর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েই প্রথমে ডেঙ্গুর আক্রমন, আর তার পরেই করোনার মতো ভয়াল থাবা মোকাবেলা করতে হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক,এমপি’র।সমালোচনা যে যাই করুক,মাঠে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
অতি সম্প্রতি দেশের ৭০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন কেন্দ্রের মতো অতিব জরুরি কাজটি শুরু করেছেন তিনি।প্রতিটি হাসপাতালে কয়টি খালি বেড আছে তা জনসম্মুখে প্রচারের নির্দেশনা দিয়েছেন।অনলাইনে লোকবল নিয়োগ, চিকিৎসাসেবা,ক্লাস ও পরীক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ তিনিই নিয়েছেন।
বসুন্ধুরায় করোনা হাসপাতালসহ দেশের করোনা আইসোলেশন শয্যা সংখ্যা মাত্র ৩ হাজার থেকে বৃদ্ধি করে মাত্র এক মাসেই ৩০ হাজারে নিয়ে গেছেন তিনি।মার্চ মাসের মাত্র ৩০-৪০টি আইসিইউ ইউনিট কে এখন ৬০০ এর অধিক আইসিইউ ইউনিটে পরিনত করেছেন।
অতি দ্রুত দেশের হাসপাতালে অন্তত ১০ হাজার অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেছেন। দেশে মাত্র ১টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এখন ৬৮টি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র তিনিই করেছেন।
মাত্র ১০ দিনে নতুন ২ হাজার চিকিৎসক,৬ হাজার নার্স করোনা হাসপাতালের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন।
গোটা বিশ্ব যেখানে করোনার কারনে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় হিমশিম খাচ্ছে,অথচ আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্ত অনুযায়ী মৃত্যুহার এখন কেবল পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের পরেই।এই হার ভারত,পাকিস্তান থেকে অনেক কম।
কি করে এতকিছু সম্ভব হচ্ছে?
অথচ বিএনপি ও বিরোধীদল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেই যাচ্ছেন। তারা ষড়যন্ত্র করে দেশের চিকিৎসক,নার্সদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট সমালোচনা করে চিকিৎসা কাজে ফ্রন্টলাইনারদের মনোবল নষ্ট করে দিচ্ছে।সরকারের সাফল্যের সমালোচনাই বিএনপি’র একমাত্র রূপ হলেও
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর কাজ নিভৃতে থেকেই ঠিকঠাক করে যাবেন ইনশাআল্লাহ…
Facebook Comments Box