, , , ,

তালতলীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হাসপাতালে নিজে জেলহাজতে

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে মোটা অংকের যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে পাষন্ড স্বামী করিম খন্দকার (৪০)। স্থানীয়রা গুরুতর আহত সুমাইয়া বেগমকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সুমাইয়ার ভাই হানিফ থানায় মামলা করলে পুলিশ শুক্রবার করিম খন্দকারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করেন। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গাব্বারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সুমাইয়ার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের গাব্বারিয়া গ্রামের আঃ মজিদ খন্দকারের ছেলে আঃ করিম খন্দকার এর সাথে প্রায় ১১ বছর আগে কড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ছিদ্দিক হাওলাদের মেয়ে সুমাইয়া বেগমের সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকেই আঃ করিম তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই মারধর করতো। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা ও প্রতিবেশীরা সালিশ মীমাংসা করে আঃ করিমকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে। কিন্তুকরিম যৌতুকের দাবীতে ফের সুমাইয়াকে মারধর করে।
ঘটনার রাতে ঘুমের ঘরে হত্যার উদ্দেশ্যে পাষণ্ড স্বামী আঃ করিমতার স্ত্রীকে দেশীয় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় সুমাইয়ার ডাক চীৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এলে পালিয়ে যায় স্বামী করিম। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৩০ টিরও বেশি দেশীয় দা’র কোপ রয়েছে। সুমাইয়ার বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে স্থানীয় লোকদের সহযোগীতায় মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে। সুমাইয়ার অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দেন।

এ বিষয়ে আহত সুমাইয়ার বড়ভাই আবু হানিফ বলেন, বিভিন্ন সময় আমার বোনকে অত্যাচার করে যৌতুক নিয়েছে আমার ভগ্নিপতি আঃ করিম। গত কয়েক মাস আগে করিম ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে কিন্তু আমার বোন টাকা দিতে অস্বীকার করায় সে বোনকে আরও বেশী নির্যতন করে আসছে। করিম এবারে আমার বোনকে খুন করতে চেয়েছিল, আমার বোন এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান মিয়া জানান, এ ঘটনায় মেয়ের ভাই হানিফ বাদী হয়ে ৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছে। অভিযান চালিয়ে মূল আসামি করিমকে গেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225