, , , ,

আমতলীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি দখল করে ঘের বানিয়ে যুবদল নেতার মাছ চাষ 

বিশেষ প্রতিবেদক, বরগুনাঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা  যুবদল নেতা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা  মেহেদি হাসান রাকিব এক সংখ্যালঘু পরিবারের  ক্রয় করা সম্পত্তি দখলে নিয়ে ঘের বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। জমি দখলে বাঁধা দিলে সংখ্যালঘু ওই পরিবারকে মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

dav
দলিল এবং স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, আমতলী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বকুল নেছা কলেজ সড়কের চাওড়া মৌজার ৩০ নং জেএলএর ৮৯ নং খতিয়ানের ৪৫৮ নং দাগের ৮.৩ শতাংশ জমি ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ তারিখ ১৬৬৯ নং দলিল মূলে সাব কবলা মূলে ক্রয় করেন তালতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামের গনেশ চন্দ্রের ছেলে রনজিৎ কুমার নন্দী। এই সম্পতির পাশেই রয়েছে এলাকার প্রভাবশালী বিএনপি নেতা মরহুম কামরুজ্জামান কামালের বাড়ি এবং তার পৈত্রিক সম্পত্তি। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় রনজিৎ কুমার নন্দীর ক্রয়কৃত ৫ শতাংশ জমি চৌকা আকৃতি করে দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দখলে নেন। জমি দখলে নেওয়ার পর কামাল রনজিৎ কুমার নন্দিকে বিভিন্ন ভয় ভিতি দেখিয়ে তার  জমিতে আর দখলে যেতে দেননি। কামরুজ্জামান কামালের মৃত্যুর পর ওই জমি তার ছেলে আমতলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান রাকিব ভোগ দখল করে আসছেন। তিনি দখলীয় ওই জমির মাটি কেটে ঘেড় বানিয়ে তাতে মাছ চাষ করছেন। রনজিৎ কুমার নন্দীর দখলে থাকা ৩ শতাংশ জমিও রাকিব জোর পূর্বক গত ২৫ এপ্রিল মাটি কেটে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে রনজিৎ কুমার নন্দীর ছেলে দীপঙ্কর কুমার নন্দী এবং তার বড় ছেলে মৃত তাপস কুমারের স্ত্রী  রিংকু রানী জমি দখলে বাঁধা দিলে রনজিৎ কুমার নন্দীসহ তার পরিবারের সকলকে মেহেদি হাসান রাকিব মেরে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার  হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন ছেলে দ্বীপঙ্কর কুমার  নন্দী।
রনজিৎ কুমার নন্দীর ছোট ছেলে দ্বীপঙ্কর কুমার নন্দি অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবা বর্তমানে অসুস্থ তাই গত ২৫ এপ্রিল রবিবার আমি এবং আমার মৃত বড় ভাইয়ের স্ত্রী রিংকু রানীকে নিয়ে জমি দখলে নিতে গেলে কামরুজ্জামান কামালের ছেলে আমতলী উপজেলা যুবদলের নেতা মেহেদি হাসান রাকিব আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোরা হিন্দু এ দেশ তোদের নয় এ জমি তোরা পাবি না। কখনো এই জমি দখলে নিতে আসবি না। ফের যদি তোরা এই জমি দখলে নিতে আস তাহলে মেরে তোদের নদীতে ভাসিয়ে দেব।’ এর পরে আমরা আমাদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাউকে কিছু না জানিয়ে আমারা চলে আসি।
মেহেদি হাসান রাকিব তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন,  তার বাবা কামরুজ্জাজামান কামাল জীবিত থাকা অবস্থায় রনজিৎ কুমার নন্দীর ক্রয় করা জমির জন্য মূল মালিক মনোয়ার হোসেন আকনকে টাকা দিয়ে মৌখিক বায়না করেছিলেন। বায়না শর্ত ভঙ্গ করে মনোয়ার হোসেন আকন জমি বিক্রি করেন রনজিৎ কুমার নন্দীর নিকট।  সেই বায়নার সূত্র ধরে আমি জমি ভোগ দখলে রেখেছি। এ নিয়ে আমতলী উপজেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে যে রায় আদালত দেবে তা আমি মেনে নেব।
আমতলী  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, জমি দখলে নিতে গেলে জীবন নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে নএ ধরনের অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225