মোঃ মিজানুর রহমান (ডোফুরা), দিনাজপুরঃ
“ জাঙ্কফুড, পথ খাবার, খোলা খাবার না খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে ”-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে লাইফস্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী ঢাকার আয়োজনে এবং আজমীর ইন্টারন্যাশনাল এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে জাঙ্ক ফুড, পথ খাবার, খোলা খাবার প্রতিরোধ বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা।
১৭ জুন, ২০২১ বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর সিভিল সার্জন অফিস এর সম্মেলন কক্ষে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ এজাজুল হক, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম ও জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন শহর সমাজসেবা অফিসার মোঃ মাইনুল ইসলাম, এফপিএবি’র জেলা কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, দিনাজপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, মহিলা কাউন্সিলর মাসতুরা বেগম পুতুল, কাউন্সিলর রেহাতুল ইসলাম খোকা ও সারদেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মো. মোসাদ্দেক হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আজমীর এন্টারন্যাশনাল ঢাকার প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, অধিকাংশ জাঙ্কফুড সুস্বাদু, তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। জাঙ্কফুডকেই ফাস্টফুড বলা হয় কারণ এটি প্রস্তুত করা সহজ ও সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। জাঙ্কফুড খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশী থাকায় মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেন বাড়িয়ে তুলতে পারে। হতাশার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলে। খাবারগুলোতে থাকা শর্করা এবং চিনি দাঁতের গহ্বর হতে পারে। ভাজা পোড়া খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা এলডিএল কোলেস্টেরল মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। ফলে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।