মোঃ মাসুদ রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
রাত পোহালেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি সোমবার ভালোবাসার দিন বা ভ্যালেন্টাইনস ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। ঋতুরাজ বসন্তের পহেলা ফাল্গুনে ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও হয় পবিত্র। ফুলে রাঙা আর বাসন্তী মোহে মুগ্ধ। এ উপলক্ষে প্রিয়জনকে ফুল উপহার দেয়ার জন্য সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন ফুল বিক্রির দোকানগুলোতে ফুল কেনার ধূম পড়েছে।
ভালোবাসা দিবসে শুধু তরুণ–তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ।
এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা–বাবা, স্বামী–স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার জয়গানে আপ্লুত হতে পারে সবাই। চলবে উপহার দেয়া–নেয়া।
সিরাজগঞ্জ সহ সারাদেশে বিভিন্ন আয়োজন ও আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সারা দিন ঘোরাঘুরি করে কাটাবে ভালোবাসার মানুষগুলো। তাদের পরনে লাল, নীল, সাদা, বেগুনি, গোলাপি বিভিন্ন রঙের পোশাক আর সাজসজ্জায় ভালোবাসার দিনটি যেন বর্ণিল রঙে রঙিন হয়ে উঠবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কনসার্টেরও আয়োজন করা হয়।
অনেকের মতে, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই–মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস–এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা মার্জার অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেয়া হয়।
নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু`ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল।
লে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন। সেই থেকে শুরু ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। তবে ভালোবাসা চিরন্তন চলে আসছে অনন্তকাল থেকে চলবে অনাদিকাল পর্যন্ত।
পৃথিবী যুদ্ধের নয়, বিচ্ছেদের নয়, সহিংসতার নয়, ভালোবাসারই জয় হয়েছে সবসময় এমন চিরন্তন প্রেমের মহিমায় সারাবিশ্বে পালিত হবে দিবসটি।
Facebook Comments Box