স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলীতে রবিবার রেশমা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি রেশমাকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী সুমন ও তার স্বজনরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর গেন্ডামারা গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের সিলবারতলী এলাকার সিরাজ মোল্লার মেয়ে রেশমার সাথে গত ৭ মাস আগে বিয়ে হয় পাশর্^বর্তী কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর গেন্ডামারা গ্রামের মৃত্যু আনোয়ার হোসেনের পুত্র সুমনের সাথে। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই সুমন ৫লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। গত ২৯ জুলাই সকালে সুমন তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ী গিয়ে রেশমাকে রেখে চলে আসে। এসময় রেশমা তার মায়ের কাছে যৌতুকের ৫লক্ষ টাকার কথা বলে। শনিবার রাত ৯ টার দিকে হঠাৎ করে জামাই সুমন ও তার এক বন্ধু আল আমিনকে নিয়ে শশুর বাড়ী গিয়ে রেশমাকে নিয়ে রাতেই বাড়ী চলে আসে। রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে পাশর্^বর্তী লোকের মোবাইল ফোন মারফত সিরাজ মোল্লার কাছে খবর আসে তার মেয়ে রেশমা খুবই অসুস্থ হয়ে পরেছে। সংবাদ পেয়েই তারা জামাই সুমনের বাড়ীতে গিয়ে দেখে রেশমাকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা সুমনকে জিঞ্জাসা করলে সুমন তখন তাদের ওপরও চড়াও হয়। তাৎক্ষনিক রেশমাকে তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন। তবে তার গায়ে তেমন কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
রেশমার বাবা সিরাজ মোল্লা জানান, জামাই সুমন তার বন্ধু আল আমিনকে নিয়ে যৌতুকের জন্য তার মেয়ে রেশমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মামলার সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানান।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.,শহিদুল ইসলাম খান জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।