স্টাফ রিপোর্টার।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় শিক্ষকদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সহাকরী শিক্ষক মো. সেলিম শিকদারের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্র অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কুদ্দুস খান। বৃহস্পতিবার উপজেলার কড়ইবাড়িয়া দা. দাখিল মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত অভিভাবক কুদ্দুস খান তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তিনি কড়ইবাড়িয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার ছোটবগী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের অনুপস্থিতি এবং পাঠদানে গাফিলতির প্রতিবাদ করতেন কুদ্দুস খান। সকাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান (সুপার) আব্দুস সবুর, সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ ও সহকারী শিক্ষক আ. আজিজ অনুপস্থিত থাকায় লাইব্রেরীতে গিয়ে শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চায় ছাত্র অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল কুদ্দুস খান। শিক্ষকদের অনুপস্থিতি ও গাফেলতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার এবং আব্দুল আজিজ কুদ্দুস খানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তর্কে জড়িয়ে একপর্যায়ে এলোপাতাড়িভাবে মারধর ও চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময়ে বাম হাতের আঙ্গুল ফাটিয়ে লাইব্রেরিতে আটকে রাখে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
আহত আ. কুদ্দুস খান বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষকরা প্রায়ই ফাঁকিবাজি করে। যে যার ইচ্ছে মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে এবং গত প্রায় দুই বছর ধরে ১টায় কিংবা ২টায় ছুটি দেয়। বৃহস্পতিবার ৪-৫ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিল। আমি এজন্য প্রতিবাদ করায় সেলিম শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, কে কোথায় যাবে তোর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে যাবে? তুই কে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের? আমি সেলিম শিকদার কারও তোয়াক্কা করে চাকরি করি না। ইচ্ছেমতো যাই আসি। তোর জন্য এখন সব সময় আমার ক্লাস করা লাগে। এই বলে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে। অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে সহকারী শিক্ষক সেলিম শিকদার বলেন, শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া কিছুই হয় নাই। মনে হয় তার হাতে চাবি ছিল সেই চাবিতে হাত রক্তক্ষরণ হয়েছে।