২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করে ভারতের অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে ১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (১১ হাজার ৬৩৭ কোটি রুপি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।
আইসিসি জানিয়েছে, তাদের এবং টুর্নামেন্টের আয়োজক ভারতীয় ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআইয়ের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থা নিয়েলসন।
গত বছর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফাইনালে স্বাগতিক ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টটি গত ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯ নভেম্বর। ফাইনাল হয়েছিল গুজরাটের আহমেদাবাদ অঞ্চলের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। দেশটির দশটি শহরে হয় এই টুর্নামেন্ট। শহরগুলো হলো- আহমেদাবাদ, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, ধর্মশালা, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, মুম্বাই ও পুনে।
আইসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রেকর্ড ভাঙা ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন দর্শক ছিল বিশ্বকাপে। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই প্রথমবারের মতো পুরুষ বিশ্বকাপের দর্শক। বিশ্বকাপ দেখতে ভারতে গিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দর্শক। তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ তার আগেও ভারতে গিয়েছিলেন। আর বিশ্বকাপ উপলক্ষে ১৯ শতাংশ দর্শক ভারতে প্রথমবারের মতো প্রবেশ করেছেন।
ভ্রমণকারীরা ভারতে যে পরিমাণ ভ্রমণ করেছেন, তার মাধ্যমে দেশটির ২৮১.২ মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। বেশিরভাগ ভ্রমণকারীরা ভারতে সেসময় পাঁচ রাতের বেশি সময় পর্যন্ত থেকেছেন। এ সময় সেখানে ৪৮ হাজারেরও বেশি ফুল টাইম এবং পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল।