নিহত মন্টু দাশের পরিবারের পাশে থাকবে বিএনপি- ভাইস চেয়ারম্যান মনি

জহিরুল হক, বরগুনা :

বরগুনার আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার বাদী মন্টু চন্দ্র দাশ হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ন্যায্য বিচার পেতে পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি। নিহতের স্ত্রী শিখা রানীর হাতে নগদ সহায়তা হিসেবে এক লাখ টাকা তুলে দিয়ে বিএনপি সব সময় পরিবারটির পাশে থাকবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি।

সোমবার ( ১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় বরগুনা পৌর শহরের নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি কড়ইতলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হওয়া সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে তার নিহত বাবা মন্টু দাসের বাড়ি পরিদর্শনকালে কথাগুলো বলেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মনি।

সময় নূরুল ইসলাম মনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় আমরা মন্টু দাশের পরিবারের পাশে আছি। তারা যাতে ন্যায্য বিচার পায় আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করছি। সে জন্য বিনা পয়সায় আমাদের আইনজীবী দল মামলার চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত লড়াই করবে।

নিহত মন্টু দাসের বাড়ি পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় নেতার সাথে ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, বরগুনা সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি মো. ফজলুল হক মাস্টার, বরগুনা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. নুরুল আমিন সহ জেলা বিএনপি দলের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

গত মার্চ মন্টু দাসের সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়েটি অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয়। মার্চ মন্টু দাস বাদী হয়ে অপহরণ ধর্ষণ মামলা করেন। ১১ মার্চ রাতে বরগুনা পৌর শহরের কালিবাড়ি স্টাফ কোয়ার্টার দীঘির দক্ষিণ পাশে ঝোপ থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মন্টু চন্দ্র দাশ বরগুনা বাজারের একটি মুরগির দোকানে কর্মচারী ছিলেন। তার পরিবারে দেড় মাস বয়সী এক কন্যা শিশু, চার বছর বয়সী এবং বারো বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে গভীর সংকটে পড়েছে মন্টু দাসের পরিবারটি।

বরগুনা সদর থানা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, অপহরণ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত সৃজীব চন্দ্র রায় এবং তার সহযোগী কালু রফিক গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

Facebook Comments Box

Leave a Reply

  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225