টিসিবির পন্য গ্রাহকের মধ্যে বিক্রি না করে ফেরত আনার অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

সাইফুল রাফিন, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বরগুনায় স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের (টিসিবি) পন্য বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে আসায় বরগুনার এক ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ডিলারের নাম সাগর হোসেন। তিনি মেসার্স রহমান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলায় ১২০৫৮ জন ব্যাক্তিকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের (টিসিবি) আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্য থেকে গত ২৫ মার্চ সদর উপজেলার ২নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের ৭৪৭ জন কার্ডধারীকে প্যাকেজ বিতরন করার অনুমতি পান মেসার্স রহমান ট্রেডার্স। প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৬০০ টাকার বিনিময়ে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মশুর ডাল, ১ কেজি ছোলা বুট ও ১ কেজি চিনি দেয়া হয়। একজন ট্যাগ অফিসার ও জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্যাকেজ বিক্রয় করার বিধান রয়েছে। স্মার্ট কার্ডধারীরা যদি সবাই উপস্থিত না হন তাহলে ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে মাষ্টাররোল তৈরী করে স্থানীয়দের মাঝে এনআইডি কার্ড নিয়ে পন্য বিক্রয় করতে হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ট্যাগ অফিসারের অনুপস্থিতিতে একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের পূর্ব ধুপতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বসে পন্য বিক্রয় করেন মেসার্স রহমান ট্রেডার্স। কিন্তু বিতরণের শেষে দেখাযায় স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি স্থানীয়দের মাঝে এনআইডি কার্ডের বিপরীতে অল্পকিছু প্যাকেজ বিক্রয় করেন ডিলার। বাকি প্যাকেজের মালামাল নিয়ে তারা চলে যান।

স্থানীয়রা জানান, ট্যাগ অফিসারকে আমরা সারাদিনে একবারও দেখি নাই। ডিলার কিছু মাল বিক্রি করে বাকি প্রায় ১৫০ প্যাকেজের মত মালামাল নিয়ে গেছেন। আমাদের এখানকার অনেক লোককে আইডি কার্ড দিয়ে পন্য দেননি তারা। আমাদের পন্য আমাদের না দিয়ে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করার আশায় নিয়ে চলে গেছেন ডিলার। এসব অসাধু ডিলারদের কারনে গরীব অসহায় মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হোক।

এবিষয়ে মেসার্স রহমান ট্রেডার্স এর ডিলার সাগর হোসেন বলেন, যারা কার্ড নিয়ে আসছে তাদেরকে মাল দিয়েছি এছাড়াও এনআইডি কার্ড দিয়ে ১৫-২০ জনকে দিয়েছি। এখন প্রায় ৭০ টির মত মালামাল আছে তাই নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা (সাংবাদিক) কিছু না বললে কিছুই হবেনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহকারী মামুন মিয়া বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। পন্য ফেরত আনার বিষয়ে ডিলার আমাদের কিছুই জানায়নি।

উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও ট্যাগ অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, মেসার্স রহমান ট্রেডার্স আজকে টিসিবির পন্য বিক্রয় করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তারা আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেননি ।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225