ঢাকা ফেরত পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্তের পর বগুড়ার আদমদীঘিতে চলছে লকডাউন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না জনসাধারণ। ফলে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় উপজেলার সান্তাহার পৌর এলাকায় কর্মহীন হয়ে পড়া অর্ধশতাধিক অসহায় ও দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘সান্তাহার ফাউন্ডেশন’।
সান্তাহার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র, দুস্থ, অসহায় ও এমনকি লজ্জায় চাইতে পারেন না এমন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অভ‚ক্ত মানুষদের চিহ্নিত করে তাদের দরজায় গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সান্তাহার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে তারা পৌর শহরের চা-বাগান, লকু পশ্চিম কলোনী, মাইক্রোস্ট্যান্ড, ইয়ার্ড কলোনী ও রথবাড়িসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব খাদ্যসামগ্রী বাড়ির দরজায় গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল ৫কেজি, ডাল আধা কেজি, তেল আধা লিটার, আলু ১কেজি, পেঁয়াজ ১কেজি, লবন ১কেজি, সাবান ও মাক্স।
সান্তাহার ফাউন্ডেশনের সদস্য ও গণমানুষের আওয়াজ প্রতিনিধি আবু সাঈদ সাগর জানান, লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষরা ঘরে থাকায় অনেক কষ্টে দিনপার করছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে লজ্জায় চাইতে পারছেন না। এমন অর্ধশতাধিক মানুষের দরজায় গিয়ে সান্তাহার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। করোনা সঙ্কট কেটে যাওয়ার পরও আশা করছি আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
সান্তাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা নাজমুল হক ইমন বলেন, ‘সান্তাহার ফাউন্ডেশন নিয়ে এলাকার অসহায়, গবীর ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। চেষ্টা করছি অর্ধহারে, অনাহারে থাকা মানুষরা অন্তত একবেলা যাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে পেট ভরে খেতে পারে। আমাদের প্রস্তুতি হিসেবে ৫০ পরিবারকে এই উপহার সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সান্তাহারের সব এলাকায় আমাদের উপহার সামগ্রী পৌঁছানো হবে। এ ছাড়াও সান্তাহার ফাউন্ডেশনে যারা সহযোগিতা করতে চান তারা এগিয়ে আসুন। সবার ছোট ছোট সহযোগিতা এবং অনুদান করোনায় বিপদে পড়া মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে।’