বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম এলাকায় নাগরনদের তলা থেকে বছরের প্রায় অধিকাংশ সময় অবৈধ ভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের অভিযোগে অবশেষে ৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নাগর নদের তলাকেটে বালু উত্তোলন করা নিয়ে সর্বশেষ গত ১৭মার্চ কালের কন্ঠের অনলাইনে ‘হুমকির মুখে ফসলি জমি-ঘরবাড়ি, গতি হারাচ্ছে নদী’ শিরোনামেসহ ইতিপূর্বেও কয়েকবার সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরও নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবাধে বালু উত্তোলন করছিলো চক্রটি। অবশেষে গত সোমবার রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার দুপচাঁচিয়া শাখা অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার ৩দিন পর গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মামলায় এজাহাভুক্ত আসামীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নাগরনদ থেকে কোন প্রকার বালু উত্তোলন করেননি বলে দাবী করেন।
মামলা সূত্রে জানাযায়, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে আদমদীঘির কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর, দুপচাঁচিয়া ও কাহালু এলাকাজুড়ে নাগরনদের বাঁধ রক্ষার জন্য প্রায় ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই বাঁধের কুন্দগ্রাম ও চাঁপাপুর এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নগরনদের তলার গভীর থেকে বালু উত্তোলন ও মাটি কেটে নেয়ায় বাঁধ ও বাঁধে বনায়ন প্রকল্পের গাছ বর্ষা মৌসুমে হুমকির মুখে পড়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ ও পুড়ে ফেলেন। বাপাউবো কর্তৃকপক্ষ ঘটনাস্থল সরজমিনে গিয়ে দেখে উল্লেখিত ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে কুন্দগ্রামের রুহুল আমিন, আজাহার হোসেন রাজা, শামিমুল ও শাহিনুর নামের ৪ব্যক্তির নামউল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ জালাল উদ্দীন মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।#