নওগাঁর সাহাপুর ঢাকারোড এলাকা থেকে গত ২২ এপ্রিল বিকেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৮বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের পর এর সাথে জড়িত না থাকলেও এক ব্যক্তিকে আসামী করে থানায় মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই আসামীর স্বজনরা। তারা এই ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনা উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তদন্ত করেএর সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আসামী করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, গত ২২ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার নতুন সাহাপুর এলাকায় গোপন সুত্রে খবর পেয়ে পুলিশ মাদক উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায় । এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুল কাদেরের বাড়ির সামনে রাস্তায় ব্যাগে থাকা ৯৮ বোতল ফেনসিডিল ফেলে এক ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের মুল্য ৯৮ হাজার টাকা। ঘটনার পর পুলিশ উপস্থিত স্বাক্ষীদের জিঙ্গাসাবাদ শেষে ওই দিনই নতুন সাহাপুর(চা বাগান) এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নয়ন হোসেন(৩৩) কে আসামী করে মামলা করেন।
এ বিষয়ে নয়নের মা কাজলী বেগম ও নয়নের ভাই মুনির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন নয়ন এলাকায় ছিলো না। সে তার শ্বশুর বাড়িতে ছিলো। জানিনা কেন তাকে এই মামলায় আসামী করা হলো। এ ঘটনার সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত আসামী পাওয়া যাবে এবং নয়নকে যে ভুল বা ইচ্ছাকৃতভাবে আসামী করা হয়েছে তা বেড়িয়ে আসবে।
এই মামলার সাক্ষী মটর সাইকেল মেকার আব্দুস ছোবহান বলেন, ঘটনার সময় দুই মটর সাইকেল আরোহী ছিলেন। চাপাঁয়নবাবগঞ্জের ভাষায় কথা বলা মটর সাইকেল আরোহী একজন কম বয়সী ছেলেকে ঢাকারোডে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে আদমদিঘী থানার একজন গোয়েন্দা পুলিশ ওই কম বয়সী ছেলেকে চ্যালেঞ্জ করলে তার কাছে ফেনসিডিলের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে য়ায়। ঘটনাস্থল নওগাঁ থানা এলাকার মধ্যে পড়ায় নওগাঁ পুলিশ ওই ফেনসিডিল জব্দ করে। ঘটনাস্থলে বা আশে পাশে নয়ন ছিলোনা বলে জানান ছোবহান।
একই কথা বলেন মামলার অপর সাক্ষী ঢাকা রোডের আব্দুল জলিল। তিনি বলেন নয়নকে আমরা কেউই দেখিনি।অথচ আসামী হলো কিভাবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদি নওগাঁ সদর থানার এস আই উজ্জ্বল হোসেন বলেন, মামলার শুধু বাদি আমি। এ বিষয়ে জানতে উদ্ধতর্ন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।#