জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় একটি গাছে মৌমাছিরা বাসা বেঁধেছে। তা-ও আবার এক-দুটি নয়; ওই একটি গাছেই মৌমাছির ১২টি চাক লেগেছে। এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।
জানা যায়, মহিপুর ৫০ শয্যার হাসপাতালের অভ্যন্তরের ওই গাছটি এলাকায় মৌগাছ হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে ওই গাছেই মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, অফিস স্টাফ, রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনরা প্রতিদিন আসা-যাওয়া করলেও কেউই ওই মৌমাছি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালের নারী ও শিশুদের ওয়ার্ড এবং প্রসূতি নারীদের ডেলিভারি কক্ষের সঙ্গেই বিরাট আকারের একটি মৌগাছ। সেই গাছে বছরের পর বছর ধরে মৌমাছিরা বাসা বেঁধে বাস করছে।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও নার্স বলেন, রোগীদের কক্ষের জানালা থেকে ৩-৪ হাত দূরেই যদিও মৌমাছিগুলোর ১২টি বাসা। দিনের বেলায় বাহিরের বাতাসের জন্য অনেক সময় জানালা খোলা থাকলেও কখনও মৌচাকের মাছিগুলো রুমের ভেতর আসে না। তবে সন্ধ্যার সময় আলো জ্বালালে কিছু মৌমাছি এলেও এখন পর্যন্ত কাউকেই কামড় (হুল) ফোটায়নি।
হাসপাতালের অফিসসহায়ক আবদুল বারিক বলেন, এখন পর্যন্ত হাসপাতালের পাশে এই গাছে চাক বেঁধে এতগুলো মৌমাছি অবস্থান করলেও এদের দ্বারা কেউ আক্রান্ত হয়নি। কৃষকের ক্ষেতে যখন মৌসুমি ফসল সরিষার ফুল ফোটে তখন মৌমাছির বসবাস একটু কমে যায় বলেও তিনি জানান।
হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. শহীদ হোসেন বলেন, চিকিৎসক, নার্স, অফিস স্টাফ ও রোগীর বিপদ ঘটতে পারে, এ কারণে এসব মৌচাক থেকে মধুসংগ্রহ করা হয় না।