মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠকারী শাহজাহান সিরাজ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক এ্যাপোলো) শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। শাহজাহান সিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এবং দুই সন্তান রেখে গেছেন। শাহজাহান সিরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল বুধবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সাবেক এই মন্ত্রীকে দাফন করা হবে।
শাহজাহান সিরাজ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। সেই সময়ের ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন তিনি। তখন যাদের ‘চার খলিফা বলা হত তারই একজন শাহজাহান সিরাজ।
১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ‘ছাত্র আন্দোলনের নিউক্লিয়াসথর পক্ষে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন তিনি। ওই দিন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান ‘চার খলিফার আরেকজন ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রব। ‘চার খলিফার অন্য দুজন হলেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী এবং ডাকসুর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন।
স্বাধীনতার পর রব-সিরাজের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ভাঙন থেকে জাসদ গঠিত হলে সেই দলের সহ সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শাহজাহান সিরাজ। তখন তাকে কিছু দিন কারাগারেও থাকতে হয়েছিল। পরে জাসদ কয়েকটি ভাগ হলে একটি অংশের নেতৃত্ব দেন শাহজাহান সিরাজ। ১৯৯৫ সালে তার দল নিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হন তিনি।
১৯৪৩ সালের ১লা মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্ম গ্রহণ করেন শাহজাহান সিরাজ। ওই আসন থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। টাঙ্গাইলের করটিয়া সাদত কলেজ ছাত্র সংসদের দুই বার ভিপি ছিলেন তিনি।