সিংগাইরের চারিগ্রাম গোলাইডাংগা জামশা পাকা রাস্তার করুণ দশা জনদূর্ভোগ চরমে

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের চারিগ্রাম গোলাইডাংগা, জামশা পাকা রাস্তাটি দুই বছর যাইতে না যাইতে কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে হাটু জল হয়ে যায়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি দেখে বুঝার উপায় নাই পাকা রাস্তা নাকি ছোট ছোট খাল। করুন দশা নাম মাত্র এ পাকা রাস্তাটি দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজোলার চারিগ্রাম, জামশা সড়কটি এলজিইআরডি অফিসের মাধ্যমে রাস্তাটি পাকা করণের কাজ পান হেমায়েতপুরের জৈনক এক ঠিকাদার। সে মোতাবেক রাস্তাটি পাকা করণের কাজ সম্পূর্ণ করে ঐ ঠিকাদার। স্থানীয়দের দাবি, নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে তাড়াহুড়া করে কাজ করায় অল্প সময়েই রাস্তাটির সিংহ ভাগ স্থানে কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানা খন্দক ন্যাড়া রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সিংগাইর উপজলার চারিগ্রাম বাস্তা গোলইড়াংগা, জামশা, সাহারিয়া, চাকুলিয়া, মানিকগঞ্জ সদরের আংশিক হাটিপাড়া  বন পারিল, নবাবগঞ্জ এসব এলাকার প্রায় বিশ হাজারের মত লোকজন এ জন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করে থাকে। রাস্তাটির পিচ, ইটের খোয়া উঠে গিয়ে খানা খন্দকে পরিণত হওয়ার কারণে জনদূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। এ পাকা ভাংগা রাস্তাটির কোন কোন স্থানে বড় বড় গতের্র কারণে যানবাহনের অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে অল্প দিনেই গাড়ি বিকল হয়ে যায়। এছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই রাসÍাটি  কঁাদা বালিতে একাকার হয়ে যায়। এতে চাকুরীজীবি স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রী, অসুস্থ্য রোগী, বৃদ্ধা, গর্ভবতী নারীদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

জামশা এলাকার ফজলুল বলেন, রাস্তাটি পাকা করণে নিম্ন মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় অল্প দিনেই রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সিএনজি চাালক রফিক (৪৫) বলেন, এরাস্তায় একটু বৃষ্টি এলেই বড় বড় গর্তে হাটু পানি হয়ে যায় পানির মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালাল ইজ্ঞিন নষ্ট হয়ে যায়  তাই গাড়ি চালাতে ভয় পাই।

কলেজ পড়–য়া মিথিলা বলেন, বৃষ্টিএলে রাস্তাটিতে জল জমে কঁাদা পানিতে একাকার হয়ে যার। কলেজে যাওয়ার সময় কঁাদাপানিতে পোশাক নষ্ট  হয়ে যায় তাই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা উচিত ।

সিএনজি  চালক সরুজ (৫৭) বলেন, রাস্তাটি  বিভিন্ন স্থানে ভাংগা চুড়া হওয়াতে  গাড়ী ঝঁাকুনী চলে যায়। খায়  মূল্যবান পাটর্স নষ্ট হয়ে  সারদিন যা কামই তা গাড়ি  মেরামতেই শেষ হয়ে যায়।

উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রুবাইয়াত জামান জানান, রাস্তাটির চেয়ে বাড়ী উচু হওয়ায় অতি বৃষ্টিতে রাস্তাটি খানাখন্দক গর্তে পরিণত হয়েছে। তবে খুব দ্রুত দরপত্র দিয়ে রাস্তাটি ভালোভাবে সংস্কার করা হবে যাতে এ অঞ্চলের মানুষের কষ্ট লাঘব হয়।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225