পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দুই বিশেষ সহকারী। তারা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষ সহকারী তানিয়া আইদ্রস ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. জাফর মির্জা। বুধবার তারা দুজন একযোগে তাদের পদথেকে ইস্তফার ঘোষণা দেন। এ খবর দিয়েছে করাচিভিত্তিক গণমাধ্যম ডন।
খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরোধীদল থেকে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ২০ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর এই পদত্যাগের ঘোষণা আসলো। তানিয়া জানিয়েছেন, তিনি মূলত নাগরিকত্ব নিয়ে তার ও সরকারের যে সমালোচনা হচ্ছে সে কারণেই পদত্যাগ করছেন। এ নিয়ে একটি টুইট বার্তা দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি বলেন, তার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে চলা এ বিতর্ক ডিজিটাল পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ব্যহত করছে।
তাই দেশের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে আমি আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি সবসময় পাকিস্তানি ছিলাম, সবসময় পাকিস্তানি থাকব। তবে তিনি জানান, তিনি পাকিস্তানের সেবায় সবসময় নিয়োজিত থাকবেন এবং যে কোনো প্রয়োজনে ইমরান খানের সহযোগিতা করবেন। টুইটে তিনি তার পদত্যাগপত্রের ছবিও যুক্ত করেন।
তানিয়ার পদত্যাগের ঘোষণার পরপরই পদত্যাগের কথা জানিয়ে টুইট করেন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. মির্জা। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাকরি ছেরে আমি পাকিস্তানে ফিরে এসেছি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধে। এখানে আমি সততার সঙ্গে কঠিন শ্রম দিয়েছি।
পাকিস্তানের সেবা করা আমার জন্য গর্বের ছিল। আমি তৃপ্ত যে, আমি এমন সময় অফিস ছেরে যাচ্ছি যখন পাকিস্তানে করোনার বিস্তার কমে আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান, তার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে চলমান বিতর্কের কারনেই তিনি পদত্যাগ করছেন বলে জানান।