মাস্ক পড়ার কথা বলায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিষ্ট মো. সুজন মিয়াকে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমুকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবারের ঘটানায় ঐ স্বাস্থ্য কর্মী বুধবার রাতে সাটুরিয়া যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রেজাসহ ৪ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছন।
ঘটনাটি ঘটেছে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রে। ফার্মাসিষ্ট সুজন বালিয়াটী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের পুত্র
ফার্মাসিষ্ট মো. সুজন মিয়া জানান, গত মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. রেজাউল করিম, মো. সুমন মিয়া, কাউসার, ও জসিম ১০-১২ জন মাস্ক ছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। তাদের সবাইকে মাস্ক পরর অনুরুধ করার সাথে সাথে আমার মাস্ক খুলে নেয় তারা। পরে সবাই মিলে আমাকে মারধর ও হাসপাতাল ভাঙ্চুর করে। এসময় হাসপাতালের ঔষধ লুট করে নেয়।
মানিকগঞ্জ জেলা পরিবার ও পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. গোলাম নবী জানান, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। তদন্ত করে দুষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, অভিযোগটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। সুমন নামে এক ছাত্র নেতার সাথে ফার্মাসিষ্ট মো. সুজন মিয়া সাথে কথা কাটা কাটি হয়। এমন সংবাদ শুনে আমি ঘটনা স্থলে যাই। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে আমার নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের অভিযোগটি আমিও শুনেছি। অভিযোগ প্রমাণীত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।