একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন)। তিনি তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিস সহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।
সাংবাদিক রাহাত খান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জামালপুর ৪ সরিষাবাড়ী আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এমপি।
প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ডা. মুরাদ বলেন, রাহাত খান ছিলেন বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক। ছোটগল্প ও উপন্যাস উভয় শাখাতেই তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। সাংবাদিক হিসেবেও রাহাত খানের অবদান প্রণিধানযোগ্য। তিনি তাঁর সৃজনশীল লেখনীর মাধ্যমে পাঠকসমাজের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
উল্লেখ্য, কথাশিল্পী রাহাত খান (৮০) আজ শুক্রবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের নিজ বাসায় অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বাসাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাহাত খান। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। রাতে মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যাথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। রাহাত খান ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন। বিখ্যাত সিরিজ মাসুদ রানার রাহাত খান চরিত্রটি তার অনুসরণেই তৈরি করা।