ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের কৃত্তা গ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় জাহিদুল ইসলাম (৩২) নামে যুবক নিহত হয়েছে। নিহত জাহিদুল কৃত্তা গ্রামে কাউছার মোল্যার ছেলে। শুক্রবার রাত ১১ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎচাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আহতদের ফরিদপুর সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৮আগষ্ট) সকালে কৃত্তা গ্রামের কাউছার মোল্যার ছেলে জাহিদুল ইসলাম, মৃত্যু কাদের মোল্যার ছেলে আবু বক্কর ও হাবিবুর রহমান গংদের সাথে একই গ্রামের মৃত্যু জয়নদ্দিন মোল্যার ছেলে ছামাদ মোল্যা, কানাই মোল্যার ছেলে এলেম, জাহাঙ্গীর, ইশরাইল,ও শহিদুল গংদের সাথে জমিজমা বিবাদে মারামারি হয়। কৃত্তা গ্রামের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নির্মাধীন পাকা রাস্তার জমি দেওয়া কে কেন্দ্র বিরোধ চলছিলো উভয় পক্ষের। এর আগে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে আগে কয়েকবার মারামারি ও হাতাহাতি হয়েছে উভয় উভয়ের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন জাহিদুল নকলহাটি বাজারে গেলে তাকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের শহিদুল তাকে মারধর করে।
এতে ক্ষ্যন্ত হয়নি শহিদুল পরে আবার বাড়ি এসে দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় জাহিদুল গংদের উপর। হামলায় আহত হয়, আবু বক্কর (৬০), হাবিবুর রহমান (৫৫), ও জাহিদুল ইসলাম (৩২)সহ ৫ জন আহত হয়। হামলার সময় রড দিয়ে জাহিদুলের মাথায় আঘাত করলে সে গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে ঢাকা নিওরো সাইন্স হাসপাতালে রেফার করে। সেখানেও তাকে রাখেনি পরে জাহিদুলকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে শুক্রবার রাত ১১ টায় তার মৃত্যু হয়। জাহিদুলের মৃত্যুর বিষয়টি সংস্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাসান আশরাফ নিশ্চিত করেন। বাকি আবু বক্কর ও হাবিবুর রহমান ফরিদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎচাধীন রয়েছে। হামলার সময় উভয় পক্ষের আরো ৫/৭ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। এলাকা শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এঘটনায় একজনের মৃত্যুর হয়েছে বলে শুনেছি। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।