দৌলতপুরে কলেজ শিক্ষিকার সাথে প্রতারণার অভিযোগ!

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের জোয়াদ্দারপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের কন্যা ও গোয়ালগ্রাম কলেজের প্রভাষক মেরিনা আক্তারের সাথে একই গ্রামের নূরুল হকের ছেলে তহিদুল ইসলামের ২ লক্ষ দেন মোহরে ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল বিবাহ হয়।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, বিবাহের পর থেকে তহিদুল ইসলাম যৌতুকের দাবী করে তার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে মেরিনা আক্তারের পিতা জামাই তহিদুল কে ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে চাকুরির জন্য সাড়ে সাত লক্ষ টাকা দেন। এরপর এম,বি,এ করা, মোটরসাইকেল কেনা, বাড়ি করা সহ প্রতারণা করে ১৬ জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসাবে হাতিয়ে নেয়। কিন্তু আবারও যৌতুকের দাবী করায় কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তার ও তার বাবা শহিদুল ইসলাম আর কোন টাকা দেয়া যাবেনা বলে জানালে তহিদুল তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার কে মারপিট করে শিশু সন্তান সহ বাড়ি থেকে বের করে দেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে তহিদুল তার স্ত্রী কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তার কে এক তরফা ভাবে তালাক দেয়।

এ ব্যাপারে মেরিনা আক্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। কিন্তু ধুরন্ধর তহিদুল বারবার নোটিশ করা হলে ও সেখানে সে হাজির হয়নি। এরপর ঐ কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

এরপর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যাক্তিগণের উপস্থিতিতে গত ৩ জুন এ ব্যাপারে এক সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের সম্মতিতে যৌতুক ও দেন মোহর বাবদ ১৪ লক্ষ টাকা মেরিনা আক্তারকে দেবার অঙ্গীকার করেন তহিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে তাদের দুই বছরের নাবালক সন্তান কে জিম্মি করে ৬ লক্ষ টাকা বাদ দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা দিবে বলে সালিশী বৈঠকে তহিদুল ইসলাম অঙ্গীকার করেন। কিন্তু যৌতুক ও দেন মোহরের ধার্যকৃত টাকা না দেবার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে প্রতারক তহিদুল ইসলাম গত ০৩/০৭/২০২০ ইং তারিখে, ২৯/০৭/২০২০ ইং তারিখে এবং ২০/০৮/২০২০ ইং তারিখে কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে উদ্দেশ্য মূলকভাবে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩ টি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া তহিদুল একটি স্বনামধন্য ইলেকট্রনিক কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার হিসাবে ঢাকায় অবস্থান করায় রাজধানীর কলাবাগান সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারন ডায়েরি ও অভিযোগ দাখিল করে কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তারের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া ঐ কলেজ শিক্ষিকাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান সালিশ বৈঠকে ধার্যকৃত অর্থ না দেবার উদ্দেশ্যে তহিদুল এভাবে তাকে ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা, জিডি, অভিযোগ ও হুমকি দিয়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ফলে তিনি স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষকতা সহ কোন কাজ করতে পারছেন না।

প্রতারণার শিকার কলেজ শিক্ষিকা মেরিনা আক্তার নারী সংগঠন সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তহিদুল ইসলামের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225