সালথায় হত্যা মামলার দুই আসামী গ্রেফতার

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বড়বালিয়া গট্টি গ্রামে ইজ্ঞিনিয়ার হামিদ খাঁন হত্যা মামলার আরও দুই আসামীকে  গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সালথা থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার এ তথ্য জানিয়েছেন। গ্রেফতার দুই আসামী হল বড়বালিয়া গ্রামের মৃত্যু হাচিম মোল্যার ছেলে দাউদ মোল্যা (৫৫), সহদর ভাই আয়ুব মোল্যা (৫২)। গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) মাগুরা জেলার সদর থানা এলাকা ও ঝিনাইদাহ জেলার শোলকুপা থানা এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সালথা থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আটক দুজনই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী। এর আগে একই মামলার আরও দুই আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ বলেন, ইজ্ঞিনিয়ার হামিদ খাঁন হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদেরকে আদালতে প্রেরন করা হবে। এই মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুতই তাদেরকে ধরতে পারবো। উল্লেখ্য, গত ৬ জুন সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে  রামদার কোপে হামিদের মৃত্যু হয়। সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় বালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হামিদ খাঁন (২৫) বড় বালিয়া গ্রামের মহিউদ্দিন খাঁনের ছেলে। সে ডিপ্লোমা ইজ্ঞিনিয়ারিং শেষে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলো বলে স্থানীয়রা জানান। এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা দাউদ খাঁন ও আয়ুব খাঁনের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জের ধরে ৬ জুন শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ভাতিজা হামিদের উপর হামলা করে চাচা দাউদ খাঁন, আয়ুব খাঁন ও তাদের ছেলেরা। হামলার সময় রামদার কোপ লাগে হামিদের মাথায়। পরে  তাকে  আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথেই এ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত হামিদের বড় ভাই হাচান খান (৩৫) বাদি হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225