পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে নাব্যতা ও ফেরি সংঙ্কটের কারনে যানবাহন পারাপারে মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অপর দিকে শিমুলীয়া-কাঠঁলবাড়ী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারনে ওই রুটের যানবাহনের বাড়তি চাপ পরেছে পাটুরিয়া ঘাটে। এর সাথে গতকাল মঙ্গলবার পাটুরিয়া ৫ নং ফেরি ঘাটে কাছে জেগে উঠেছে ডুব চর। ফলে বাধ্য হয়ে ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ডুব চর অপসারনের জন্য ড্রেজার বসানো হয়েছে। এ কারনে ঘাটটিতে ফেরি ভীড়তে পারছে না ।
এসময় ঘাট এলাকায় দুই টারমিনালসহ পাটুরিয়া সংয়োগ মোড় থেকে আরিচা ট্রাক টারমিনাল পর্য়ন্ত ৭ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। পারের অপেক্ষায় রয়েছে সাতশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তবে যাত্রীবাহী বাসের তেমন চাপ নেই। এতে চরম দুভোর্গে পরেছে যাত্রী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি,র পাটুরিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক,মো. আব্দুস সালাম জানান, শিমুলীয়া-কাঠঁলবাড়ী রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই রুটের প্রতিদিন চার-পাঁচশতাধিক বাড়তি ট্রাক এ রুটে আসছে। পাশপাশি নদীতে নাব্যতা সংঙ্কটের সাথে ফেরি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ৫নং ফেরি ঘাটের কাছে ডুব চর জেগে উঠায় ফেরি ভীড়তে পারছে না। ১৯টি ফেরি মধ্যে ছোট –বড় ১৫টি চলাচল করছে । বাকি চারটি ফেরি মেরামতের জন্য ডগইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। আবার ১৫টির মধ্যে কেরামত আলী , বনলতা ও কুমারী নামের তিনটি ফেরি সাময়িক মেরামতে রয়েছে।একারনে পাটুরিয়া ঘাটে পারে অপেক্ষায় রয়েছে সাত শতাধিক যানবাহন। তবে অগ্রধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পার করা হচ্ছে।
কয়েক জন ট্রাক চালক জানান, দুই দিন যাবৎ ঘাটে পারের অপেক্ষায় বসে আছি। এখনও ফেরিতে উঠতে পারিনি। কখন পার হতে পারবো তাও বলতে পারছি না। রোদ-বৃষ্টির মধ্যে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। খাওয়া ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় বেশি সমস্যায় পরতে হচ্ছে।