মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার পুলিশ কনস্টবল মো. আবু জায়েদ চাকুরী জীবেনর পাঠ চুকিয়ে অবসর নিয়ে ফিরছেন পরিবারের কাছে। দীর্ঘ ৪০ বছর বাংলাদেশ পুলিশের কনেস্টবল পদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুক্রবারই ছিল তার চাকুরীর শেষ দিন। বিদায় বেলা অনেকটাই ভারাকান্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু ভিন্ন রকমের আয়োজন করে বিদায়ের বিষাদটাকে আনন্দে ভরিয়ে দিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. ফিরোজ কবির। কনস্টেবল জায়েদের বিদায় উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে থানার সকল সদস্যেদের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাকে বিদায় জানানো হয় । এসময় তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহার সমাগ্রী। বাড়ি ফেরার সময় তার সম্মার্থে ওসির বহন করা নিজের সরকারি গাড়িটি বিভিন্ন রংবে রংঙ্গের বেলুন ও ফুল দিয়ে সাজানো হয় । দেখে মনে হবে কোন বর যাত্রী যাবে গাড়িতে। পরে ওই গাড়িতে করে পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর তার নিজ বাড়িতে পরিবারদের কাছে সম্মানের সাথে নামিয়ে দিয়ে আসা হয়। সহকর্মী বিদায়ের সময় ওসির এমন সম্মানে কনস্টবল জায়েদ কান্না করে ফেলেন। এবং সকল সাবেক পুলিশ সহকর্মীদের কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কনেস্টবল জায়েদ জানান, সেই ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেছিলাম। দীর্ঘ চাকুরী জীবনে নানা স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠে। তবে আমার বিদায় বেলা আমার ওসি স্যার যে ভাবে আমাকে সম্মান দেখালেন তা সত্যি বিরল। আমিই মানিকগঞ্জ জেলার পুলিশের এমন বিরল সম্মনের প্রথম সদস্য হিসাবে সম্মান পাওযায় নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। ওসি, এসপি স্যারসহ সকল উর্ধ্বতণ স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শিবালয় থানার ওসি,মো. ফিরোজ কবির জানান, একটা লোক তার সারা জীবনের মুল্যবান সময়টুকো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে দিয়েছে। তাই তার বিদায় বেলা সামান্য সম্মান জানানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। কনস্টবল জায়েদের বিদায়ের সময় থানার সকল সদস্যেদের সাথে নিয়ে বিদায় জানিয়েছি। তার অবসর জীবনে যে কোন সমস্যা হলে আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানানোর জন্য বলেছি। এছাড়া বিষয়টি আমাদের উর্ধ্বতণ স্যারদের এরকম নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।#