কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ইউপি সংলগ্ন পদ্মা নদীর দর্গম চরে এক প্রতিব›দ্বী ও তাদের স্বজনদের নামে বিজিবি মাদকের মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ঐ প্রতিব›দ্বীর চাচাত ভাই ও ভাতিজাকে বিজিবি আটক করলেও গ্রেফতারের ভয়ে ঐ প্রতিব›দ্বী ও তার আরেক চাচাত ভাই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বিজিবি‘র মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ১ অক্টোবর ভোরে আতারপাড়া থেকে বাংলাবাজার যাবার পথে এক অভিযানে ২০ বোতল ফেনসিডিল, ৫‘শ গ্রাম গাঁজা ও ২ হাজার ভারতীয় রুপি সহ মোশারোফ হাওলাদার ও সুমন হাওলাদার কে আটক করা হয়। এবং প্রতিব›দ্বী সিরাজুল ইসলাম হিরু ও তার চাচাত ভাই বাবলু হাওলাদার পালিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী ও প্রতিব›দ্বী সিরাজুল ইসলাম হিরুর স্বজনরা জানান, ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে হিরু পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল।
এলাকাবাসী আরো জানায়, মোশারফ হাওলাদার একজন কৃষক সুমন হাওলাদার মুদি দোকানদার। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের মাদক সংশ্লিষ্টতা নাই বলে এলাকাবাসী দাবী করেছেন।
মামলার অপর আসামী ও সুমন হাওলাদারের পিতা বাবলু হাওলাদার জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিজিবি আতারপাড়া ক্যাম্পের দায়িত্বরত বিজিবি সদস্য আবুল কালাম আজাদ তার দোকানের সামনে মহিলাদের কে উদ্দেশ্য করে গালাগাল করতে থাকে। বাবলু হাওলাদার এর প্রতিবাদ জানালে বিজিবি সদস্য আবুল কালাম আজাদ তাকে দেখে নেয়া হবে বলে হুমকি দেবার তিনদিন পর তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, তাদের বাড়ি থেকে ধরে নেয়া হলেও মামলায় ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দুরে। মামলাটির সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের নিকট আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল জানান, বিজিবি সদস্য কালামের সাথে বাবলু হাওলাদারের কথাকাটা হয়েছিল। তাছাড়া মোশারফ, সুমন সহ অন্যদের কোন ধরণের মাদক সংশ্লিষ্টতা আমাদের নজরে পড়েনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ জানান, তার জানামতে দীর্ঘদিন ধরে বাবলু, মোশারফ, সুমন কে চেনেন। কেউ মাদক ব্যবসা করে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার কর্ণেল ফরহাদ জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি‘র অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম চালাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।