মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাসেদেবপুর গ্রামের পবন বেপারী ছেলে কামরুজ্জামান নিজের ৪ বিঘা জমিতে ভাগ্য বদলাতে উন্নত মানের হাইব্রিড জাতের শশা রোপন করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে শশা গাছ জাংলার মাঝে এমন সুন্দর করে শুয়ে আছে, একেকটা শশা গাছ যেন কৃষক কামরুজ্জামানের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন তার ঘরে শুয়ে আছে।
জানাগেছে, মাত্র ৩৫ দিন আগে স্থানীয় এক সার বীজ ডিলারের দোকান হতে উন্নত মানের হাইব্রিড জাতের শশা বীজ নিয়ে রোপন করেন তিনি।
আর ৩৫ দিন পর ভাগ্যের চাবিকাঠি হয়ে ৪ বিঘা জমিতে শশার বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে। ফলন দেখে মহাখুশি কৃষকের পরিবার।
কৃষক কামরুজ্জামান বলেন, ২০১৮সালের প্রথম দিকে তার মাথায় শশা চাষের পরিকল্পনা আসে। এবছর বন্যার পানি জমি থেকে নামার পরেই সেই সিদ্ধান্ত নেন ৪ বিঘা জমিতেই হাইব্রিড জাতের শশা রোপন করবেন। এবছর আবহাওয়া প্রতিকৃলতার মাঝেও তিনি হার মানেনি। শত ঝড় বাদল উপেক্ষা করে বেশি দামে শ্রমিক এনে নিজের স্বপ্ন পূরন করেছেন।
তিনি আরো জানান, তার এই ৪ বিঘা জমিতে শশা চাষ করতে কীটনাশক ও সার বীজ শ্রমিক খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। উন্নত মানের পরিবেশ বান্ধব জৈব এবং কম্পোজ সার ব্যবহারের মাধ্যম তিনি ভালো ফলনের আশা করছেন।
কামরুজ্জামানের শশা আবাদ করা দেখে এলাকার অনেক কৃষক উৎসাহিত হয়েছে। আগামীতে অনেক কৃষক শশা চাষ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন