দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। একই সাথে পাল্লা দিয়ে কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে আলু পেঁয়াজ ও সবজির দামও।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ফুলবাড়ী পৌর শহরের সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক-দু’দিন আগেও কাঁচা মরিচ খুছরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ টাকা। গত বুধবার যে আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, সেই আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। অথচ গত বুধবার প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে করলা, বেগুন মুলা ঢেঁড়সসহ অনান্য সবজির দামও।
সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন পাইকারী বাজারে আমদানী কম ও মূল্য বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
সবজির পাইকারী বাজারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চাহিদার তুলুনায় আলু পিয়াজসহ সবজির আমদানী অনেক কম। পাইকারী বিক্রেতারা বলছেন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে কাঁচা মরিচসহ করলা বেগুনসহ সবজির গাছ মরে গেছে, এই কারনে বাজারে সবজির আমদানী কমে গেছে, দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যবস্যায়ীরা বলেন পিয়াজের এলসি আমদানী বন্ধ হওয়ায় পিয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। তারা বলেন এক শ্রেনীর অসাধু মজুদদার ফুলবাড়ীসহ আশপাশের কোল্ডষ্টোরেজে প্রচুর পরিমান আলু মজুদ রাখলেও, সেই আলু বাজারে ছাড়ছেনা, যার ফলে দিন দিন আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
এদিকে হঠাৎ সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষ। তাঁরা বলছেন সারা দিনে যে আয় হয, তা দিয়ে তারা পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য যোগাড় করতে পারছেনা। এতে সংসার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুর আলম সুমন এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন অচিরে অসাধু ব্যবস্যায়ী ও মজুদদারদের বিরুচ্ছে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং একই সাথে সবজির পাইকারী ও খুছরা বিক্রেতারা যাতে ভোক্তাদের ক্রয় মূল্য ও বিক্রয় মুল্য নিশ্চিত করে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।