দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলোচিত বাবলী খাতুন ফেলানী হত্যার দির্ঘ ১১ মাসপর রহষ্য উদ্ঘাটন করে মুল আসামী আবুল হোসেন (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকালে আসামী আবুল হোসেনকে তার নিজ বাড়ী (বর্তমান বাড়ী) তেঁতুলিয়া গ্রাম থেকে আটক করে আদালতে সোপর্দ্দ করে। এসময় আসামী আবুল হোসেন হত্যার দায়স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলবাড়ী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) দেবি কান্ত বর্মন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবী কান্ত বর্মন বলেন, ফেলানী হত্যা মামলায় আটক মুল আসামী আবুল হোসেন রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খালাশপীর মেসাইল গ্রামের বাসীন্দা মৃত আজাহার মন্ডল ওরফে আজাহার বাঘার ছেলে। সে দির্ঘদিন থেকে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের তার শশুরালয়ে বসবাস করতো। ধৃত আবুল হোসেনের আরো একটি স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে, তারা ঢাকায় গামেন্টের্সে কাজ করে বলে জানা গেছে।
হত্যার শিকার বাবলী খাতুন ফেলানী (২৭) কাটাবাড়ী নয়াপাড়া গ্রামের আশিকুর রহমানের স্ত্রী ও একই এলাকার গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
ফুলবাড়ী থানার ওসি ফকরুল ইসলাম বলেন, নিহত বাবলী খাতুন ফেলানী ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকালে ছাগলের ঘাষ কাটার জন্য বাড়ীর পার্শে ধান ক্ষেতে যাওয়ার পর আর বাড়ী ফিরেনি। এরপর ফেলানীর পরিবারের সদস্যরা খোজাখুজি করে ধান ক্ষেতে থেকে ওই দিন সন্ধায় ফেলানীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবলী খাতুন ফেলানীকে মৃত্যু বলে ঘোষনা করেন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশ ফেলানীর মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরণ করে, ফুলবাড়ী থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করে। এরপর ময়না তদন্তের ভিষেরা রিপোর্ট আসলে, জানা যায় বাবলী খাতুন ফেলানীকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় চলতি ২০২০ সালের গত ১৩ আগষ্ট নিহত ফেলানীর মা, মসলেমা বেগম বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় অজ্ঞাত নামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলার সুত্রধরে প্রযুক্তি মাধ্যমে তদন্ত করে মুল হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশ।