সালথায় এক স্ত্রীর দুই স্বামীর দাবিদার, গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

ফরিদপুরের সালথায় এক স্ত্রীকে দুই স্বামী দাবি করছে। ওই স্ত্রীর বাড়ি উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের বিভাগদী পূর্বপাড়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত্যু আলেক মাতুব্বরের মেয়ে জোসনা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চচল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে জোসনার প্রতিবেশী গ্রাম পুলিশ সাহাদাৎ এর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নারী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, নির্যাতিত নারী জোসনা বেগম ১৮/২০ বছর আগে ভিন দেশী  খালেক (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে নিজের বাবার বাড়িতেই সংসার করছিলেন। তাদের সংসারে সন্তান না হওয়ায় এবং স্বামীর অক্ষমতার দোষ দিয়ে তাকে গত ১ বছর আগে তালাক দেয়। পরবর্তীতে জোসনা বেগম পাশ্ববর্তী বাহিরদিয়া গ্রামের মৃত্যু হাকীম শেখ এর ছেলে ৪ সন্তানের জনক রবিউল শেখ কে বিয়ে করেন। কিন্তু তা মেনে নেয়নি জোসনার প্রথম স্বামী ভিনদেশী খালেক। সাবেক স্বামী খালেক এর দাবি, স্ত্রী একা তালাক দিলে হবে না তাতে আমারও সম্মতি থাকতে হবে। অতএব সে এখনও আমার স্ত্রী আছে। অন্য দিকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কোর্টের মাধ্যমে রবিউলকে বিয়ে করেন জোসনা বেগম। জোসনার বর্তমান স্বামী রবিউল অভিযোগ করে বলেন, জোসনা এখন আমার বিবাহিত স্ত্রী আমি তার বাড়িতে যেতে পারছি না। গ্রাম পুলিশ সাহাদাৎ এখন সব কলকাঠি নাড়াচ্ছে। সে জোসনার সাবেক স্বামীকে আশ্রায় দিয়ে জটলা পাকাচ্ছে। আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিলে তা সে প্রত্যাক্ষান করে। এর ফলে সাহাদাৎ আমার স্ত্রীকে মারপিট করেছে। মুখে কামড়িয়ে দাগ বানিয়ে দিছে। এমনকি শারীরিক নির্যাতনও করেছে সাহাদাৎ। গ্রাম পুলিশের হাতে নির্যাতিত নারী জোসনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমি রবিউল কে বিয়ে করেছি তা মনে নিতে পারছে না সাহাদাৎ । আমার সাবেক স্বামীকে সে আশ্রয় দিয়েছে যেন সে আর্থিক ফায়দা লুটতে পারে। এর জন্য আমার উপর সে নির্যাতন করেছে। সাহাদাৎ বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিতো তা আমি কখনও মেনে নেই নি। সে জন্যই আমার মুখে কামড়িয়ে দাগ করে দিছে। আমাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন ও করেছে সাহাদাৎ । অভিযুক্ত সাহাদাৎ অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমি জোসনাকে শারীরিক নির্যাতন করিনি। সে আমার প্রতিবেশী বিভিন্ন সময় স্বামী -স্ত্রী ঝগড়া করে বিধায় ঠেকাইছি মাত্র।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ বলেন, ওই নারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমাদের কাছে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ টি পাঠিয়েছেন আমরা তদন্ত করছি।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225