‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’ এ আলোকে মানিকগঞ্জ ঘিওরে নারী ও শিশু নির্য়াতন প্রতিরোধে সমাবেশ হয়েছে। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে ঘিওর সদর ইউপি কার্য়ালয় চত্বরে ঘিওর থানা পুলিশের আয়োজনে নারী নির্য়াতন ও ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ শেষে একটি র্যালী বাজার প্রদক্ষিণ করে।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, দেশে নারী নির্য়াতন ও ধর্ষণ নিপীরণকে দমন করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারাদেশে পুলিশ একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নারী নির্য়াতন, ধর্ষণ , সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকে দমন করতে ঘিওরে পুলিশ বাহিনী তৎপর রয়েছে। যেকোনো অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে । সমাবেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী , ইমাম মোয়াজেম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে ওসি আরো বলেন, আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করুন । পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ গঠনে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনস্বার্থে অপরাধ দমনে পুলিশের সচেতনামূলক এ অভিয়ান অব্যাহত থাকবে।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড- কার্যকর করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশের সচেতনতামূলক এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ঘিওর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া রহমান বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক এ আন্দোলন আমাদের অনেক বেশি সাহস যোগাবে, এ বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম খুব সহজে কিভাবে ধর্ষণ ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয় । আমাদের চলাচলে কোন ধরনের সমস্যা হলে আমরা সহজেই পুলিশের কাছে ইনফরমেশন পৌঁছাতে পারবো।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঘিওর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মহব্বত খান, সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামাল হোসেন,বোরহান উদ্দিন, ঘিওর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল, ঘিওর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ সরকার দিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সদস্য শরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী , গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য ধর্ষণ ও নারী নির্য়াতনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ঘিওর থানার নিয়ন্ত্রণাধীন একযোগে ৭ টি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কাযর্যক্রমের আওতায় নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন-নিপীড়ন বিরোধী সচেতনাূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।