কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ৩’জন দলিল লেখক (মোহরার) রাজত্ব কায়েম করছে। নতুন সনদ প্রাপ্তদের কাছে সমিতির নামে চাঁদা উঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাযায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সদরে অবস্থিত সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের নতুন সনদ প্রাপ্ত ৩২’জন দলিল লেখক এর কাছে তথা কথিত সমিতির নামে ৩’হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করেছে নেতৃত্ব দেওয়া দলিল লেখক কাদের, আরজউল্লাহ।
কয়েকজন ভুক্তভোগী নতুন সনদপ্রাপ্ত দলিল লেখক বলেন, আমরা সদ্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়ে দলিল লেখার কাজ শুরু করতে গেলে দলিল লেখক আব্দুল কাদের, আরজউল্লাহ ও মমিন তথা কথিত দলিল লেখক সমিতির নামে ৩’হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে না দিলে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি হতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। আমরা বাধ্য হয়ে তাদেরকে উল্লেখিত চাঁদা প্রদান করেছি। কিন্তু দৌলতপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে আদৌ কোন দলিল লেখক সমিতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে জানাগেছে ঐ তিনজন দলিল লেখক সমিতির নামে আদায়কৃত চাঁদার সমস্ত টাকা নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে।
এব্যাপারে কথিত দলিল লেখক সমিতির নেতা আরজউল্লাহ’র কাছে চাঁদা নেওয়ার ব্যাপারটি জানতে চাইলে তিনি জানান, সমিতির ঘর মেরামত বাবদ দলিল লেখকদের ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়ীত্ব পালনকারী মমিন মোহরী ঐসকল টাকা আদায় করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত দলিল লেখক সমিতির অপর নেতা আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।