নরসিংদীর শিবপুরে ভাতিজা কর্তৃক লাগাতার ধর্ষণে ৭ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন চাচী। এ ঘটনায় ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বাড়ৈগাও দক্ষিণপাড়া গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ওই গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননীর সাথে তার ভাসুরের ছেলে হায়দুল্লাহ (২০) এর মধ্যে ১০ বছরের বয়স ব্যবধান। বিদেশে যাওয়ার সময় চাচীকে দেখেশুনে রাখার জন্য ভাতিজাকে বলে যান চাচা। এরপর থেকে চাচীর সাথে একই ঘরে থাকতেন ভাতিজা হায়দুল্লাহ। এক পর্যায়ে তারা অসম ও অবৈধ পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে এক সময়ে চাচী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। পরে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য একাধিকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর বিদেশে স্বামীকে জানানো হয় স্ত্রী গর্ভবতী। এ ঘটনা জানাজানি হলে ভাসুরের ছেলে হায়দুল্লাহর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন চাচী। ওই মামলায় শিবপুর মডেল থানা পুলিশ আসামী হায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিগত এক বৎসর পূর্বে বসত ঘরে একা পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসামী হায়দুল্লাহ। কাউকে এ বিষয়টি জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় সে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানাননি চাচী। এরপর হতে প্রায় প্রতিদিন একই ভাবে চাচীর সাথে অবৈধ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতো ভাতিজা। এতে বাধা নিষেধ করলে মারপিট করা হতো। বর্তমানে ৭ মাসের অন্ত:স্বত্ত্বা চাচী। ঘটনার পর থেকে প্রবাসী স্বামী টাকা পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। একটি জরাজীর্ন মাটির ঘরে দুই অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।