“জাতির পিতার সম্মান রাখবো মোরা অম্লান” ও বঙ্গবন্ধুর সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায়, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্ককার্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে এই প্রতিবাদ সমাশে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকারের সভাপতিত্বে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তপক অর্পন ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে সবাবেশের সুচনা করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খাঁন, সালথা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রুপা বেগম, উপজেলা প্রকৌশলী তৌহিদুর রহমান, কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জীবাংশু দাস, মৎস্য অফিসার রাজিব রায়, সালথা থানার (ওসি) তদন্ত সুব্রত গোলদার, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান। সমাবেশে বক্তরা বলেন, যার জন্ম না হলে এদেশ স্বাধীন হতো না। যার ডাকে দেশের আপমোর জনসাধারন ঝাপিয়ে পড়ে শহীদ হয়ে দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে । তারই সুফল আজ আমরা ভোগ করছি। সেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি অবমাননা আমরা সহ্য করবো না। বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্ককার্য ভাংচুর যারা করেছে তার দেশ দ্রোহিতা করেছে, বঙ্গবন্ধু কে অসম্মান করেছে। যারা এই কাজ করেছে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এমন শাস্তি দিতে হবে যে শাস্তি দেখে অন্য কেউ এই জঘন্য কাজটি করার সাহস না জোগায় এদেশের মাটিতে। মুর্তি আর ভাস্ককার্য এক জিনিস নয় । সমাজের কিছু কুচক্রি মহল তাদের রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের লক্ষ্যে সাধারন মানুষকে ভুল বুঝাচ্ছে আপনারা ওই দিকে কান দিবেন না। শেখ হাসনা সরকারের আমলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে এই উন্নয়নের ধারার ব্যঘাত ঘটাতে চাচ্ছে কিছু মহল । আজ স্বর্পেন পদ্মা সেতু বাস্তাবে রুপান্তরিত হয়েছে। এটাও তাদের ভালো লাগছে না। তাই এদের চিহ্নিত করেন এদেরকে প্রতিহত করার দরকার।