মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরে প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে গোপনে ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিক্রি করে ফেঁসে গেলেন চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
সোমবার ২১ ডিসেম্বর বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিক্রিত গাছটি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা এলাকার একটি স’মিল থেকে উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরুল হাসান বলেন, উপজেলার চরমিরপুর ইউনিয়নের পরিষদ চত্বরে বজ্রপাতে অর্ধমৃত একটি সেগুনগাছ ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম কোন রকমের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লিখিত বা মৌখিক কোন প্রকার অনুুমতি না নিয়েই গত ৯ ডিসেম্বর ওই গাছটি বিক্রি করে দেন।
পরে কাঠ ব্যবসায়ী কহিনুর ইসলাম গাছিটি কেটে নিয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে সোমবার নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা রহিমের স’ মিল থেকে ২০ ঘণফুট ওই গাছ গুড়ি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে পরিষদের সামনে বজ্রপাতে একটি সেগুন গাছ মরে যায়। পরে উপজেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়ে গাছটি কাটা হয় এবং ৮০ হাজার টাকা মূল্য কাঠ ব্যবসায়ী কহিনুর ইসলামের নিকট গাছটি বিক্রি করা হয়।
তবে গাছ বিক্রির সবগুলো টাকা হাতে না পাওয়ায় সরকারি কোষাগারে কোন টাকা জমা দেওয়া হয়নি। মামলা হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন প্রতিপক্ষের লোকজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ভুলবুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের গাছ বিক্রি করার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।