স্টাফ রিপোর্টারঃ
বরগুনার তালতলীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার স্বপক্ষে কোন প্রমাণ দিতে না পারায় সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত ৯জনসহ ১৩ জনের তালিকা তৈরি করে ভাতাকর্তনসহ গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা’য়) এ সুপারিশ পাঠিয়েছে উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনে জানা গেছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে ৪২ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের সুপারিশ করেছে। সে অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ, জামুকা ও সংসদ সদস্য কর্তৃক কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম আলী হাওলাদার, জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কেশব লাল শীল ও অতিরিক্ত প্রশাসক কর্তৃক কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামানের স্বাক্ষরিত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি বেসামরিক গেজেট প্রাপ্তদের সাক্ষাতকার গ্রহন করে। এতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার স্বপক্ষে কোন স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিতে না পারায় সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত ৯জনসহ ১৩ জনের গেজেট ও সনদ বাতিলের সুপারিশ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা’য়) পাঠানো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে কোন স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিতে না পারা ১৩জন হলেন, লাভলী বেগম, মো. হারুন, উসিট মং, সৈয়দ আবদুল হাই, সৈয়দ মো. সাইফুল্লাহ, মো. সোহরাফ হাওলাদার, মো. শাহজাহান মিয়া, মৃত আনসারুল ইসলাম, মৃত সুরেশ চন্দ্র বড়াল, মৃত মোতালেব মাস্টার, মো. আবু হানিফ, মো. শামছুল হক পিপিএম ও মো. হযরত আলী।
তালতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নুর উদ্দিন আহমেদ জানান, বেসামরিক গেজেট প্রাপ্তদের সাক্ষাতকারে ১৩ জনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার স্বপক্ষে কোন স্বাক্ষ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। তাদের গেজেট ও সনদ বাতিলের জন্য জামুকা’য় সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের আপিলের সুযোগ রয়েছে।
অতিরিক্ত প্রশাসক কর্তৃক কমিটির সদস্য সচিব তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, তালতলী থেকে এখানে শুধু যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত বাতিল হয়নি।