, , , ,

কথিত নেত্রী বিউটির বেশুমার ঘর বাণিজ্য, প্রশাসন নিরব ভূমিকায়

মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

যশোরের বেনাপোলে কথিত নেত্রী বিউটির বেশুমার ঘর বাণিজ্যের কোন কূল কিনারা নেই। তার ঘর বাণিজ্যের সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর থেকেয় বেরিয়ে আসছে একের পর এক টাকা নিয়ে ঘর বাণিজ্যের তথ্য।

কাজল রেখা নামে বিউটির সহিত রাজনীতি করা এক মহিলা নেত্রীকে ঘর বাণিজ্যের বিষয়ে জিঙ্গাসা করলে, বেরিয়ে আসে বিউটির এই ঘর বাণিজ্যে সহযোগীতা করা এক মহিলার নাম। তিনি হলেন পোড়াবাড়ির নারাণপুর গ্রামের তাজবানু। কাজল রেখা বলেন, পোড়াবাড়ি গ্রামের তাজবানু তিনজন মহিলার কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে এসে বিউটিকে দেয়। তাজবানু আমাকে টাকা গুলো দিয়ে বলে গুনে দিতে এবং আমাকে সাক্ষী রেখে সে টাকা গুলো বিউটিকে দেয়। কোন কোন মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা। তবে এটা তাজবানু জানে।।

এবিষয়ে তাজবানুর কাছে জিঙ্গাসা করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি খালি তিনজনের কাগজ জমা দিয়েছি নায়েবের কাছে, তারা পরে টাকা দিয়েছে কিনা আমি জানিনা।

এছাড়াও দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ দম্পতি বলেন, ঘর দেওয়ার কথা বলে বিউটি আমাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে প্রায় ৭/৮ মাস আগে কিন্তু এখনো আমরা কোন ঘরের খবর পায়নি।

ঐ একই স্থানে বসবাসরত ভাড়াটিয়া আম্বিয়া বেগম, ফতেমা বেগম, মিয়ারাজ এবং রোকেয়া বেগম নামে ৪ জন বলেন, আমরা সকলে দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া বাসায় থাকি, আমরা খুব গরীব। আমরা সকলে প্রধানমন্ত্রীর ফ্রী ঘরের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু ঘর পায়নি, যারা টাকা দিচ্ছে তারায় ঘর পাচ্ছে। ঐ নেত্রী বিউটি আামাদের কাছে প্রায়শই বলে, টাকা দিলে আামাদের ঘর পায়য়ে দেবে। এবিষয়ে মিয়ারাজ বলেন, বিউটি কায়দিন আগে এসেও আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেছে। প্রথমে নগদে ২০ হাজার এবং ঘর পাওয়ার পরে ৩০ হাজার
টাকা দিতে হবে।
নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রী বলেন, ঘর দেওয়ার নাম করে বিউটি আমার বাবার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেছে এবং ঘরের চাবির পাওয়ার পর তাকে আরো টাকা দিতে হবে।

বিউটির নামে এর আগেও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বাণিজ্যের সংবাদ প্রকাশ সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিলেও এখনো প্রর্যন্ত দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজার কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন আমি এখনো কোন অভিযোগ পায়নি যদি দিয়ে থাকেন তবে সেটা উপজেলা নির্বাহী ভূমি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথিকে একাধিক বার কল দিলে তিনি কল কেটে দেন।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225