বিশেষ প্রতিবেদক, বরগুনাঃ
বরগুনায় শিকলে বেধে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতন করেছে শিক্ষক। নির্যাতিত শিক্ষার্থীর নাম আবদুল আলিম (১২)। তার বাবার নাম ফরিদ উদ্দিন। বাড়ি হেউলিবুনিয়া গ্রামে। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী হেউলীবুনিয়া মৃধাবাড়ি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে যাবার অপরাধে মারুফ হোসেন নামে একজন শিক্ষক শিশুকে একরাত একদিন শিকলে বেধে নির্যাতন করেছে। শিশুটির কান দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। ডানহাত নাড়াতে পারছেনা। সর্বশরীর পিটিয়ে ও পায়ের তলায় পিস্ট করে থেতলিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সন্ধার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে।
ওই মাদ্রাসার দায়িত্বপ্রাপ্ত হাফেজ জাবের হোসেন শিশুকে নির্যাতনের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন মারুফ হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়েছেন।
শিশুর পিতা ফরিদ উদ্দিন জানান আমরা গরিব মানুষ খবর পাওয়ার পরে বাচ্চাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
বরগুনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, শিশুর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া জানান অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও ছাত্রদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাকে প্রত্যাহার করা হবে।
বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় মামলা হয়েছে।
Facebook Comments Box