চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুরে ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষ দিনে নিম্নমানের খাবার বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দুপুরে ব্রয়লার মুরগির ২পিচ মাংশ ও পাকা ভাত বিতরণ করতে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, অন্যদিনগুলোতে ১জন রুগির জন্য ১২৫টাকা খাবারের জন্য বরাদ্দ থাকে।আর বিশেষ দিনে ২৫০টাকা খাবার বরাদ্দ থাকে। খাবার তালিকায় সকালে পরাটা ১টা ডিম,১টা কলা.সেমাই ,আর দুপুরে খাসির মাংস ও পাকা ভাত। কিন্তু এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যতিক্রম চিত্র লক্ষ করা গেছে। অথচ প্রাপ্তবয়স্ক রোগীর জন্য প্রতিদিন ১২৫ টাকা খাবারের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ রয়েছে। প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক রোগীদের সকালে দুইটি পাউরুটি, দুইটি সিদ্ধ ডিম, একটি কলা, ২০ গ্রাম চিনি।
উক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী রত কসিমুদ্দিন নামে এক রোগী বলেন,এই মেডিকেলে খাবার মান তেমন ভালো না।আমরা বেশীরভাগ খাবার খেতে পারি না। বাইরে থেকে কিংবা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এসে খাই।এমন অভিযোগ আরো অনেকের কাছে থেকে পাওয়া গেছে। ১৬ ডিসেম্বর মোট রুগি ৪৬ জন তারমধ্য ৯ জন রুগি ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছে। কিন্তু এই
৯ জন রুগির খাবারের বিল জমা দিয়ে বিল উওোলন করা হবে বলে জানা গেছে।
ওই হাসপাতালের খাবার রান্নাকারি তোসিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছরের বিশেষ দিনগুলোতে উন্নত খাবার সকালে ২টা পাকা কলা,১টি ডিম,২টা পরাটা,এক পিয়ালা ডাল আর দুপুরে এক টুকরো খাসির মাংস/ব্রয়লার মাংশ দেয়ার কথা থাকলেও খাবার ঠিকাদার তা জোগাড় করতে পারে নি। খাবার এতো নিন্মমানের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা ঠিকাদার জানে।এর বেশী আমি কিছু বলতে পারবো না।আপনি জানতে চাইলে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করুন। ঠিকাদারের হাবিবুল্লাহ বিশ্বাসের ০১৭৩৫৩৫৯৪২৯ করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুদ পারভেজ বলেন, মেডিকেলে খাবার মান ভালো দেয়া হচ্ছে। আপনারা অযথা আমাদের বিরক্ত করছেন। এছাড়াও তিনি সাংবাদিকদের সাথে বিদ্রুপ আচারণ করে ফোন কেটে দেন।