আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
নারিকেল চুরির প্রতিবাদ করায় মন্টু ঘরামীসহ চারজনকে স্থানীয় মহিবুল্লাহ, নাঈম ও তাদের সহযোগীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সংঙ্কটজনক অবস্থায় মন্টু ঘরামীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমতলী থানায় মন্টু ঘরামী অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর ডালাচারা গ্রামের বখাটে মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল এলাকার বিভিন্ন বাড়ীর গাছের নারিকেলসহ বিভিন্ন ফল চুরি করে আসছে এমন দাবী মন্টু ঘরামীর। গত সোমবার রাতে মন্টু ঘরামীর চারটি গাছের অন্তত ৫০ টি নারিকেল চুরি হয়। এতে তিনি মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল নারিকেল চুরি করেছে বলে সন্দেহ করেন। এ নিয়ে বুধবার রাতে উত্তর ডালাচারা চৌরাস্তায় বসে মহিবুল্লাহ, নাঈম ও তার সহযোগীদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মহিবুল্লাহ ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মন্টু ঘরামীকে ইট দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেয়। তাকে রক্ষায় তার ভাগ্নে রিপন হাওলাদার, বেল্লাল ঘরামী ও ভাতিজা সোহাগ ঘরামী রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে। দ্রুত স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কেএম তানজিরুল ইসলাম মন্টু ঘরামীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত মন্টু ঘরামী বলেন, বখাটে মুহিবুল্লাহ, নাঈম, হানিফ, জহিরুল ও বেল্লাল এলাকার বিভিন্ন বাড়ীর গাছের নারিকেলসহ বিভিন্ন ফল চুরি করে আসছে। গত সোমবার রাতে আমার চারটি গাছের ৫০ টি নারিকেল চুরি হয়। ওই বখাটেরা আমার গাছের নারিকেল চুরি করেছে বলে সন্দেহ হয়। আমি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে আমাকে আমার দুই ভাগ্নে ও এক ভাতিজাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার শাস্তি দাবী করছি।
মহিবুল্লাহ মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, নারিকেল চুরির ঘটনা মিথ্যা।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।