, , , , ,

হজে যেতে যে দেশের নাগরিকদের ২০ বছর অপেক্ষা করতে হয়

অনলাইন ডেস্ক 

হজে যেতে ইন্দোনেশিয়ার একজন নাগরিককে গড়ে ২০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কাতারভিত্তিত গণমাধ্যম আল জাজিরার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ব্যাপক জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে হজে যাওয়ার সুযোগ নির্ধারণ করে সরকার। এ কারণে দেশটির বহু নাগরিক জীবনে মাত্র এক বার হজে যাওয়ার সুযোগ পান।

২৭ কোটি ৬২ লাখ মানুষের দেশ ইন্দোনেশিয়া জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ পাকিস্তান। জনসংখ্যার দিক থেকে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।

এদিকে, খবরে বলা হয়েছে-ইন্দোনেশিয়া এবারও নাগরিকদের হজে যাওয়ার অনুমতি দেবে না। করোনা মহামারি এবং হাজীদের নিরাপত্তার কারণে দেশটি এমন সিদ্ধাস্ত নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াকুত চোলিল বলেন, এ বছরও সরকার হজের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছরও করোনার কারণে নাগরিকদের হজে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি ইন্দোনেশিয়া।

ইন্দোনেশিয়ার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, সৌদি আরব এখনও হজের অনুমতি দেয়নি। এটা শুধু ইন্দোনেশিয়ার মানুষের জন্য না, কোনো দেশই হজে যাওয়ার অনুমতি পায়নি। ইন্দোনেশিয়ার যেসব নাগরিক হজে যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়েছেন তারা আগামী বছর হজে যাবেন।

২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে সৌদি আরব বিশ্বের কোনো দেশ থেকে হজ পালনের অনুমতি দেয়নি। সাম্প্রতিক সময়ের ইতিহাসে হজের অনুমতি না দেওয়া ছিল প্রথম। গত বছর সৌদি আরবের নাগরিক এবং দেশটিতে বসবাসকারী মাত্র ১ হাজার মানুষকে হজে পালনের অনুমতি দেওয়া হয়।

গত মার্চ মাসে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন কেবল তারাই এ বছর হজের অনুমতি পাবেন।

তবে রয়টার্স নিউজ এজেন্সি গত মাসে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে উদ্বেগের কারণে সৌদি আরব এ বছরও বিদেশি হজ যাত্রীদের হজ নিষিদ্ধের কথা ভাবছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই নিউজ এজেন্সি দুইটি সোর্সের বরাতে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র সৌদি নাগরিক যারা হজের অন্তত ৬ মাস আগে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হবে তাদেরকে হজের অনুমতি দেবে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225