, , , ,

আমতলীতে ব্রীজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন ভোগান্তিতে ১৫ হাজার মানুষ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর খালের মুছুল্লি বাড়ী সংলগ্ন আয়রন ব্রীজ মঙ্গল সকালে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরেছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছে ৮ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ। দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন ব্রীজ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়েছেন।
জানাগেছে, ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর খালে মুছুল্লি বাড়ীর সংলগ্ন স্থানে আয়রন ব্রীজ নির্মাণ করে। ওই সময় ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় দুই বছরের মাথায় ব্রীজ নড়বড়ে হয়ে পড়ে। ২০১২ সালে ওই ব্রীজের একটি অংশ দেবে যায়। গত ৯ বছর ধরে দেবে যাওয়ায় ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের ১৫ হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। মঙ্গলবার সকালে সোনাখালী পাড় থেকে মাঝখানের ব্রীজের অংশ ভেঙ্গে নদীতে পড়ে গেছে। এতে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরেছে আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর, গেরাবুনিয়া, সোনাখালী, দরিটানা, পশ্চিম সোনাখালী ও আমতলাসহ ৮ টি গ্রামের। যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে ওই ইউনিয়নের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ভাঙ্গা ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, সোনাখালী পাড় থেকে মাঝখান পর্যন্ত ব্রীজ ভেঙ্গে খালে পড়ে আছে। সকল যোগাযোগ বিছিন্ন। মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গাজীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মুসুল্লী ও বেল্লাল গাজী বলেন, মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে সোনাখালী পাড়ের ব্রীজের একটি অংশ ভেঙ্গে খালে পরে গেছে। এতে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তারা আরো বলেন, প্রতিদিন এই ব্রীজ দিয়ে অন্তত ৩-৪ হাজার মানুুষ চলাচল করতো। সেই মানুষগুলোর যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় নির্মাণের চার বছরের মাথায় ব্রীজ দেবে যায়। গত ৯ বছর ধরে ওই দেবে যাওয়া ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে। এখন ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৮ গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষের চলাচলে ভোগান্তিতে পরেছে। দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ করে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের দাবী জানান তিনি।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ভাঙ্গা ব্রীজ পরিদর্শনে লোক পাঠিয়েছি। পরিদর্শন শেষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনে বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225