সাখাওয়াত হোসেন (পাবনা) জেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক বিধবা নারীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামীর বড় ভাই মন্টু ওরোফে বেল্লাল (ভাসুর) কে মারধর করে জখম করেছে উত্যক্ত কারি আব্দুল মজিদ ও ফারুখ। বিধবা নারী ও তার ভাসুর মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া থানায় পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জানুয়ারি সোমবার উপজেলার খাঁনমরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী গ্রামে। এ ঘটনায় আহত মন্টু ওরফে বেল্লাল ও ভুক্তভোগী নারী থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলার ময়দানদিঘী গ্রামের ভুক্তভোগীর স্বামী রতনের মৃত্যুর পর থেকে তার স্ত্রীকে প্রায় দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছে বিধবার চাচাতো দেবর ফারুক (১৯) ও ননদ জামাই আব্দুল মজিদ (৩৫)। ফারুক বিধবার চাচা শশুর মো. ফরহাদ আলীর ছেলে ও আব্দুল মজিদ বিধবার চাচা শশুর তোরাপ আলীর ঘরজামাই ও আবুল হোসেনের ছেলে। সম্প্রতি গভীর রাঁতে বিধবার চাচা শশুরের ঘরজামাই আব্দুল মজিদ গভীর রাঁতে জানালার পাশে, টয়লেটের পাশে দাড়িয়ে থেকে বিভিন্ন বিরক্ত করে আসছিল।আত্মসম্মানের ভয়ে ওই নারী বিষয়টি এতো দিন কাউকেই জানাননি। ঘটনার দিন রাঁতেও একই অবস্থা তৈরি করেন। পরদিন সকালে ওই নারী তার চাচা শশুরকে জানালে ফারুক ও আব্দুল মজিদ ক্ষিপ্ত হয়ে বিধবা ঐ নারীকে মারতে আসে এ সময় বিধবার ভাসুর প্রতিবাদ করলে ফারুক ও আব্দুল মজিদ তাকে পিটিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসি উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার গালে একাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মজিদ গভীর রাঁতে বিধবা নারীর মোবাইলে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে ফারুক হোসেন পালাতক রয়েছে।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইন গত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Facebook Comments Box