করোনাভাইরাস পরবর্তী যুগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই স্বরূপে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দলটিকে দারুণ এক জয় এনে দিতে দুর্দান্ত খেলেন করিম বেনজেমা। এ তারকা করেন দুই গোল। এদিকে মার্কো আসেনসিও একবার পান জালের দেখা। ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে দাপুটে জয়ে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই রইলো রিয়াল মাদ্রিদ।
আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৩-০ গোলে জিতে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান ফের ২ পয়েন্টে নিল তারা। এরআগে গত মঙ্গলবার লেগানেসকে ২-০ গোলে হারানো বার্সেলোনা ২৯ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দুইয়ে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৬২।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও চাপ ধরে রাখে রিয়াল। কিন্তু ভালেন্সিয়ার জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না তারা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ভ্যালেন্সিয়ার ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বার্নাব্যুর ক্লাবটি। সতীর্থের ফিরতি পাস পেয়ে অরক্ষিত করিম বেনজেমা নিখুঁত কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান।
এদিকে ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আসেনসিওকে নামান কোচ এবং মাঠে নামার কয়েক সেকেন্ডের মাথায় দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান এই স্প্যানিয়ার্ড। ভালেন্সিয়ার রক্ষণ একটি কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে অরক্ষিত আসেনসিওকে পাস দেন ফেরলঁদ মঁদি। দুর্দান্ত কোনাকুনি ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন প্রায় ১১ মাস পর মাঠে নামা সম্ভাবনাময় এই ফরোয়ার্ড।বৃহস্পতিবার ম্যাচের দশম মিনিটে টনি ক্রুসের গোলে এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল মাদ্রিদ।
কিন্তু এ তারকা অনেকটা ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও পারেননি, তার দুর্বল শট অনায়াসে ধরে ফেলেন ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। পরের মিনিটে আরও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ইডেন হ্যাজার্ড। বেনজেমার ছোট করে বাড়ানো বলে বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের টোকা পা বাড়িয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। এদিকে ম্যাচের ৪র্থ মিনিটে ভাগ্য সঙ্গে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু সে সময় পাল্টা আক্রমণে বল পায়ে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়ে কোনাকুনি শট নেন রদ্রিগো। ঝাঁপিয়ে পড়া থিবো কোর্তোয়ার হাত ছুঁয়ে বল পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
তবে ম্যাচের ২০ মিনিটে রদ্রিগোর গোলে এগিয়ে যেতে পারতো ভ্যালেন্সিয়া। কিন্তু মাক্সি গোমেস একটুর জন্য অফসাইডে থাকায় গোল মেলেনি। অনেকক্ষণ ধরে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। এর কিছুক্ষণ পরই রিয়ালও এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ছোট ডি-বক্সে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়ালেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি দানি কারভাহাল। পা বাড়িয়ে রুখে দেন ডাচ কিপার। এদিকে ৪৩তম মিনিটে কোর্তোয়ার দৃঢ়তায় সমতায় থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে জিওফ্রি কোন্দোগবিয়ার আচমকা বুলেট গতির শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়ান কিপার।
৮৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান ৩-০ করেন বেনজেমা। ডান দিক থেকে আসেনসিওর উঁচু করে বাড়ানো বল প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো ভলিতে আসরে নিজের ১৬তম গোলটি করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত এ ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।