রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান তারেক রহমানের ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে কী কথা হলো, জানালেন মির্জা ফখরুল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আশুলিয়ায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও মিজান শাহ্ দরবারে ৫৩ তম মাহফিল অনুষ্ঠিত। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান আবহাওয়ার বৈরীতায় উত্তাল সাগর, ঝড়ের আশঙ্কা জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ

দৌলতপুরে মোবাইলের সিম বিক্রি করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক!

অনলাইন ডেস্ক / ৩৮৬ শেয়ার
প্রকাশিত : শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৯ নং রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক হোসেন মাইকিং করে ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায় মোবাইলের সিম বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানাযায়, উপজেলার ৯নং রিফায়েতপুর ইনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলার ১নং আসামী হওয়ার কারনে পলাতক থাকায় প্যানেল চেয়ারম্যান ৮নং ইউপি সদস্য মানিক হোসেন উক্ত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব পান। সেই থেকেই তার চেয়ারম্যানী ভাবের শুরু।

কয়েক মাসের চেয়ারম্যানী ক্ষমতা পেয়ে এক লাফে ইউপি সদস্যের কার্য্যক্রম বাদ দিয়ে হয়ে যান চেয়ারম্যান সাহেব। এদিকে করোনা কালে মহামারীর মধ্যে গত কয়েকদিন যাবৎ হতদরিদ্রের জন্য বরাদ্দকৃত ২৫শ টাকা বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে দেওয়ার নামে তালিকাভূক্ত সাধারন জনগনকে ইউনিয়ন পরিষদে এসে মোবাইলের নতুন সিম ক্রয় করে বিকাশ একাউন্ট খুলে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক হোসেন।

যেখানে নতুন বাংলালিংক সিম কার্ডের দাম ধরা হয় ১১০ টাকা। কিন্তু বাজারে যার মূল্য ৬০ টাকা। মাইকিং করার ফলে তালিকাভূক্ত হতদরিদ্র প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এই করোনার মহামারীর দিনে সামাজিক দুরুত্ব বজায় না রেখে উপস্থিত হয়।

উপস্থিত কয়েকজনের কাছে করোনার সময় সামাজিক দুরুত্বের দিকে খেয়াল না করে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়েছেন কেন এমন প্রশ্ন করলে জবাবে তারা বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক হোসেন মাইকিং করে নতুন সিম কিনে বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য বলেছেন। তা নাহলে সরকারের দেওয়া ২৫শ টাকা নাকি আমরা পাবোনা সেই কারনেই এই সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে এতোগুলো মানুষের মধ্যে একাউন্ট খুলতে এসেছি বলে তারা জানান।

তারা আরোও জানান, আমাদের আগের মোবাইল থাকা স্বত্বেও নতুন করে সিম কিনার জন্য চাপ দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। শুনেছি দোকানে মোবাইলের সিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিন্তু চেয়ারম্যান নিচ্ছে ১১০ টাকা। এমনিতেই আমরা কর্মহীন হয়ে না খেয়ে দিন জাপন করছি তার উপর নতুন সিম কিনার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে দুঃখ্য প্রকাশ করেন তারা।

এব্যাপারে ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক হোসেন কে একাধিক বার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করনেনি।

ইউনিয়ন পরিষদের আঙ্গিনায় মোবাইলের সিম বিক্রির বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে এসে সিম কিনার বিষয়ে আমি জানিনা। তবে সরকারী নির্দেশনায় আছে যারা হতদরিদ্রর তালিকায় থাকা স্বত্বেও অনুদান পাননি তাদের এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে নতুন মোবাইলের সিম নম্বর ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এটা কে কেউ যদি ব্যবসা হিসেবে নেয় তাহলে আমার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।

 

ছবির ক্যাপশন: ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদে নতুন সিম কিনতে এসেছে হতদরিদ্র জনগন।

 

 

 

Facebook Comments Box


এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
Developed by: Agragamihost.Com