সিংগাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি আত্নসাতের চেষ্টা: বাঁশ কেটে বিক্রির অভিযোগ

মো.সাইফুল ইসলাম শিকদার,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ):

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি আত্নসাতের চেষ্টা এবং তিন শতাধিক বাশ বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার(৫ জুলাই) স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাড মো. রকিব-উল হাসান উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

 

স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ চারিগ্রামের মৃত সরাফ উদ্দিন মাস্টার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগ নেন। তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বড় চারিগাও মৌজার ৫২ শতাংশ জমি স্কুলের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপর ওই জমিতে ১৯৭০ সালে দক্ষিণ চারিগ্রাম বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ৫২ শতাংশ জমির উপর টিনের ছাপড়া তুলে  স্কুল পরিচালনা করেন। দখলও বুঝিয়ে দেন। এরপর স্কুলটি সরকারি করন করা হয়। প্রায় ৫০ বছর যাবৎ স্কুলটিতে লেখাপড়া চলছে। হঠাৎ করে স্কুলের জমি দাতার মেয়ে শেফালী আক্তার শেফু ও তার স্বামী মোকলেছুর রহমান খান জমি দাবী করে আসছিল। স্কুল কমিটিকে জমি ছাড়তে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় ও কমিটিকে না জানিয়ে গোপনে স্কুলের সব বাঁশ বিক্রি করে দেন।

 

অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে ওই গ্রামের মোকলেছ খান (৬৫), ছেলে রোকন উদ্দিন(৩০), আশরাফ উদ্দিন(৪০),  বাশ ক্রেতা রফিকুলের ছেলে ফারুক (২৪), মৃত হামেদের ছেলে কোরবান(৫০) , আরমানের ছেলে শাকিল(২০), আনোয়ারের ছেলে আসিফসহ (২২) আরো ৮/১০ কামলা নিয়ে বাশ কাটতে থাকেন।

এ সময় স্কুলের দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী সেলিম বাঁশ কাটতে দেখে স্কুল কমিটির লোকজনকে জানায়। কমিটির সভাপতি রকিব উল হাসান লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে বেপারীসহ কামলারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

গত শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষক রাসেল খান চারিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যানকে স্কুলের জমি থেকে বাঁশ কাটার ঘটনাটি জানান। চেয়ারম্যান সাজেদুল আলম স্বাধীন চৌকিদার পাঠিয়ে বাশ আটক করেন। পরে চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি  এ্যাড. রকিব-উল হাসান বলেন, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর যাবৎ জমি দাতা দান করেছেন । আমরা স্কুল পরিচালনা করছি। স্থানীয় কিছু ক্রুচক্রী মহল সরকারি সম্পত্তি আত্নসাতের পায়তারা করছে।

চারিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ইউএনও স্যারকে জানিয়েছি। গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বাঁশগুলো আটক রাখা হয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষায় যা করার দরকার তা আমি করব।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লার ব্যবহৃত সরকারি মোবাইলে বারবার চেষ্টা করে ব্যস্ত থাকায় স্বাক্ষাতকার নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

Facebook Comments Box
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225
  • Untitled post 11155
  • Untitled post 14630
  • Untitled post 14225